প্রধানমন্ত্রীর সফরের দুই সপ্তাহের মাথায় চিলমারী নৌবন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।
Published : 23 Sep 2016, 10:18 PM
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান শুক্রবার বিকালে চিলমারী ঘাটে এ নৌবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।
গত গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিলমারী এসে ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তা বাস্তবায়ন করেন। তার নির্দেশে আমি এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে চিলমারীতে এসেছি। আজ থেকে শুরু হলো চিলমারী বন্দরের কার্যক্রম।”
চলতি বছরে এখানকার নদ-নদীর ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার চার লাখ মানুষের যোগাযোগের জন্য ফেরি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, চিলমারী-রৌমারী রুটে এ ফেরি চলাচল করবে। তবে এজন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে, কেননা পল্টুন স্থাপন এবং লঞ্চ কিংবা স্টিমারের ব্যবস্থা করতে কিছুটা সময় লাগবে।
এলাকাবাসী মনে করে, এর মধ্য দিয়ে এ জনপদের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে যাবে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্ম সংস্থান।
মন্ত্রী জানান, এক সময় এই চিলমারী বন্দরে দেশ-বিদেশের অনেক জাহাজ নোঙর করত। এ কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ ছিল চিলমারী। সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সরকার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সাংসদ একেএম মাঈদুল ইসলাম মুকুল, জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. জাফর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মন্ডল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্রাহাম লিংকন, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক সফিকুল হক, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস সরকার, মতি শিউলী প্রমুখ।