শিশু জন্মদান প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো জিনিস যেমন শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর কেনা-বেচা এবং সারোগেসি কঠোর হাতে দমন করার কথা বলেছে চীন সরকার।
Published : 06 May 2024, 07:30 PM
টানা কয়েক বছর ধরে চীনে ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের গতি আটকাতে নানান চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশটির সরকার। তার মধ্যেই দক্ষিণপশ্চিমের মহানগরী চংকিংয়ের একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে সারোগেসির অভিযোগে সেখানে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে। চীনে সারোগেসি নিষিদ্ধ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত বছর চীনা কর্তৃপক্ষ সে দেশে বেশ কিছু ভুয়া জন্মসনদ প্রদানের ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে। আর সেই তদন্ত চলাকালেই সারোগেসির নানা ঘটনা সামনে চলে আসে।
রোববার চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে একটি পোস্টে বলা হয়, অবৈধভাবে সারোগেসি করে এমন সংস্থা কে সহযোগিতা করছে চংকিং অ্যাঞ্জেল অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনোকোলোজি হসপিটাল।
সারোগেট মায়েরা ওই হাসপাতালে শিশু জন্ম দিতে জাল আইডি কার্ড ব্যবহার করেন এবং শিশু জন্ম হওয়ার পর জাল জন্মসনদ তৈরি করা হয় বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়।
শাংগুয়ান জাংহি নামের একটি একাউন্ট থেকে ওই পোস্ট করা হয়। যিনি নিজেকে শিশু পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একজন স্বেচ্ছাসেবক বলে পরিচয় দিয়েছেন।
ওই পোস্টের পর চংকিংয়ের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমিটি একটি তদন্ত দল গঠন করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখার কথা জানিয়েছে।
বলেছে, “একবার যাচাই করা হলে, এটির (হাসপাতাল) বিরুদ্ধে আইন ও প্রবিধান অনুযায়ী গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
রয়টার্স থেকে এ বিষয়ে জানতে চংকিং অ্যাঞ্জেল অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনোকোলোজি হসপিটাল এর সঙ্গে ফ্যাক্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সাড়া মেলেনি।
উইবো তে হাসপাতালটি নিয়ে ওই পোস্টের পর সেখানে শত শত মানুষ মন্তব্য করেন।
একজন মন্তব্য করেন, “এই বাণিজ্য সব সময়ই ছিল বলে মনে হচ্ছে।”
আরেকজন বলেন, “এটা একটি বাণিজ্য চক্র, এমন নয় যে কোনো একজন ব্যক্তি একা এ কাজ সম্পন্ন করেন।”
গত বছর চীন সরকার বলেছিল, শিশু জন্মদান প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কি যেকোনো জিনিস যেমন শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর কেনা-বেচা এবং সারোগেসি তারা কঠোর হাতে দমন করবে।
গত নভেম্বরে চীন সরকার উহানের একটি হাসপাতাল এবং প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ওই প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে সারোগেসি এবং জাল পিতৃত্বের সনদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
চীনে বাড়িঘরের নিবন্ধন, টিকাগ্রহণ, চিকিৎসা বীমা এবং সামাজিক সুরক্ষা কার্ডের আবেদন করতে জন্মসনদের প্রয়োজন হয়।