বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক নারী চিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
Published : 07 Sep 2016, 02:08 PM
বুধবার সকালে মোরেলগঞ্জ পৌর বাজারে বাবার বাড়িতে তার লাশ পাওয়া যায়।
মৃত তপতী পোদ্দার (৩৫) মোরেলগঞ্জ পৌরসভার সুনীল কুমার পোদ্দারের মেয়ে এবং কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার দাসের স্ত্রী। তাদের একটি মেয়ে আছে।
তপতী পোদ্দার আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছেন পরিবার সংশ্লিষ্টরা।
তপতীর স্বামী তাপস কুমার দাসের ব্যক্তিগত সহকারী শরীফ তুহিন মাহমুদ বলেন, ডা. তপতী বাগেরহাট সদর হাসপাতালের ম্যাটারনাল নিউনেটাল হেলথ (এমএনএইচ) প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
“তখন তার অস্বাভাবিক আচরণের জন্য তার স্বামী তাপস দাস তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জনু শামছুন্নাহারের কাছে নিয়ে যান। সাত মাস ধরে ওই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন তিনি।
“গত ১৮ অগাস্ট তিনি ঢাকা থেকে চিকিৎসা শেষে ফিরে তার বাবার বাড়িতে ছিলেন।”
তুহিন বলেন, বুধবার সকাল ৭টার দিকে মোরেলগঞ্জ পৌরসভা বাজারে তার বাবার বাড়ির তিনতলার ছাদের চিলেকোটায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
তুহিন জানান, ২০০০ সালে ডা. তাপস কুমার দাসের সঙ্গে তপতী পোদ্দারের বিয়ে হয়। তপতী সিকদার মেডিকেল কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এমবিবিএস পাশ করেন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. অরুণ কুমার মণ্ডল বলেন, ২০১২ সালের ১ জুলাই বাগেরহাট সদর হাসপাতালে এমএনএইচ প্রকল্প চালু হয়। ওই প্রকল্পে তপতী চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্প শেষ হলে তপতী বেকার হয়ে পড়েন।
মোরেলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারক বিশ্বাস বলেন, বুধবার সকালে তপতী পরিবারের সদস্যদের অলক্ষ্যে বাড়ির তিনতলার ছাদের চিলেকোটায় উঠে একটি রডের সঙ্গে রশি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে।
তপতীর পরিবার কোনো অভিযোগ না করলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানান ওসি।