দেড় মাস পর জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ধরা পড়া ভারতীয় বুনো হাতি দেখতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন আশপাশের মানুষ।
Published : 12 Aug 2016, 10:57 PM
এ পরিস্থিতিতে হাতিটি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার কারণ দেখিয়ে ওই এলাকায় বহিরাগতদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান শুক্রবার বিকালে কামারাবাদ ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে হাতিটি দেখতে যান।
এ সময় তিনি সরিষাবাড়ি রেল স্টেশন থেকে কয়রা পর্যন্ত সড়কে বহিরাগতদের চলাচলে নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন।
সন্ধ্যায় সরিষাবাড়ি ডাকবাংলোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে জেলা প্রশাসক বলেন, “লোকজনের চাপ থাকায় হাতি স্থানান্তর প্রক্রিয়া ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এজন্য কয়রা এলাকায় যাতায়াতের রাস্তায় বহিরাগত লোকজন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।”
সরিষাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, পরিস্থিতি সামলাতে ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
হাতির নিরাপত্তা ও খাবার সরবরাহে প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করছে বলে জানান তিনি।
বানের জলে ভেসে গত ২৬ জুন ভারতের আসাম হয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে আসে বুনো হাতিটি। এরপর দেড় মাসের বেশি সময় ধরে নদী ও স্থলপথ মিলিয়ে চার জেলার কয়েকশ কিলোমিটার পাড়ি দেয়।
গত ৩ অগাস্ট ভারতীয় একটি দল জামালপুরে এসে হাতিটি উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। কিন্তু তিন কৌশল ব্যর্থ হলে ভারতের দলটি আসামে ফিরে যায়।
অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়রা গ্রামে ট্রাংকুলাইজার বন্দুক থেকে ডার্ট ছুড়ে হাতিটিকে অচেতন করা হয়; এরপর কয়েকশ মানুষ পাঁচ টনের বেশি ওজনের পুরুষ হাতিটিকে জলাশয় থেকে লোকালয়ে টেনে তোলে।
এর প্রায় ১০ ঘণ্টা পর হুঁশ ফেরা হাতিটিকে পরিচর্যার পাশাপাশি বশ মানানোর চেষ্টা চলছে। প্রশিক্ষণ পেয়ে হাতিটি স্বাভাবিক আচরণ করলেই তাকে সরানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ঢাকার সাফারি পার্ক কিংবা শেরপুরে গজনিতে হাতিটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।