“এ সময় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচি।”
Published : 01 Jun 2024, 01:44 AM
ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ নেতাকে চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক ঠিকাদার।
তবে আওয়ামী লীগ নেতার দাবি, নিম্নমানের খোয়া দিয়ে সড়কের কাজ করায় গ্রামবাসীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কুষ্টিয়া ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন।
ঠিকাদার লাবু মিয়া লেবু এল আর কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কুষ্টিয়া ইউপি টু বোররচর সাড়ে চার কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কাজ পেয়েছিলেন। কাজটির নির্মাণ ব্যয় চার কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
ঠিকাদার লাবু মিয়া লেবু বলেন, “ঈদের পরপরই রাস্তার কাজ শুরু করি। এর মধ্যে কুষ্টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল সরকার তাকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে আলতাফ নামের একজনকে দিয়ে প্রস্তাব পাঠান।
“এ নিয়ে বাবুল সরকারের সাথে আজকে (শুক্রবার) বসার উদ্যোগ নেই; আলোচনার এক পর্যায়ে সে আমার গালে চড়থাপ্পড় দিতে থাকে। পরে স্থানীয়রা এসে আমাকে ও আমার গাড়ি চালককে বেধড়ক মারতে থাকে।”
“এ সময় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচি। তারপর পুলিশ আমাদের নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।”
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বাবুল সরকার বলেন, “এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু নিম্নমানের খোয়া দিয়ে ঠিকাদার কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে কাজ বন্ধের কথা বলেন।
“এতেও ঠিকাদার কাজ অব্যাহত রাখায় স্থানীয়রা তার সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ালে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন তিনি। এতে উত্তেজিত লোকজন তার গায়ে হাত তুলে।”
ওসি মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, আহত অবস্থায় লাবু মিয়া ও তার গাড়ি চালক মো. উমরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, চাঁদা না দেওয়ায় এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে ঠিকাদার লাবু মিয়া একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এ সময় তিনি তার লাইসেন্স করা বন্দুক থেকে আত্মরক্ষার জন্য তিনি দুইটি ফাঁকা গুলিও ছুঁড়েন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”