জামালপুরের সরিষাবাড়িতে আটক ভারতীয় বুনো হাতিকে পুষ্টিকর খাবার ও স্যালাইন দিয়ে সবল করার চেষ্টা চলছে।
Published : 12 Aug 2016, 03:56 PM
শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত তাকে ১২টি স্যালাইন পুশ করা হয়েছে বলে জানান উদ্ধারকারী দলের ভেটেরিনারি সার্জন সাঈদ হোসেন।
তিনি বলেন, হাতিটিকে এখন আখ, কলাগাছ ও কলা খেতে দেওয়া হচ্ছে। প্রায় দেড় মাস পানিতে থাকায় তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঘায়ের মতো হয়েছে। তারও চিকিৎসা চলছে।
“বৃহস্পতিবার দুপুরে কামারাবাদ ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে ট্রাংকুলাইজার বন্দুক থেকে ডার্ট ছুড়ে অচেতন করা হয় হাতিটিকে। পরে চেতনা ফিরে পায় রাত ১২টা ৫০ মিনিটে।”
শুক্রবার ভোরে একবার রশি ছিঁড়ে পাশের ডোবায় পড়ে যায় হাতিটি। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় উদ্ধার করে শেকল ও মোটা রশি দিয়ে একটি আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। হাতিটি এখন সেখানেই আছে।
বানের জলে ভেসে গত ২৬ জুন ভারতের আসাম হয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে আসে বুনো হাতিটি। কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাতিটি ছিল ৯ জুলাই পর্যন্ত। এরপর ১০ থেকে ১৩ জুলাই গাইবান্ধায়, ১৪-১৬ জুলাই জামালপুরে, ১৭-১৮ জুলাই বগুড়ায়, ১৯-৩০ জুলাই সিরাজগঞ্জে এবং তারপর ৩১ জুলাই থেকে আবার জামালপুরে।
সার্জন সাঈদ জানান, পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে হাতিটি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। তখন তাকে দুটি পোষা হাতির সহায়তায় সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে সেখান থেকে ফর্কলিফটের সাহায্যে বড় ট্রাকে তুলে কোনো সাফারি পার্কে নেওয়া হবে।
হাতিটি এখন যেখানে আছে সেখানে ট্রাক চলার রাস্তা নেই।
বন কর্মকর্তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, হাতিটি উদ্ধারের পর বাংলাদেশের কোনো সাফারি পার্কে রাখা হবে। পরে গারো পাহাড়ের বনে ছেড়ে দেওয়া হবে, যাতে ভারত থেকে আসা হাতির পালের সঙ্গে এটি চলে যেতে পারে।