ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার সহপাঠী বিপ্লবচন্দ্র দাস।
Published : 07 Aug 2016, 12:34 AM
শনিবার কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালত-৯-এর বিচারক ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরীর কাছে বিপ্লব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ।
বিপ্লব বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তাকে শুক্রবার সকালে ঢাকার রামপুরার টিভি ভবনের সামনে থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল বিপ্লবের বরাতে বলেন, ছাত্রলীগের ইলিয়াস পক্ষ হল দখলের জন্য হামলা করলে বিপ্লব তা ঠেকাতে যান।
“একপর্যায়ে বিপ্লব গুলি করলে খালিদ মারা যান বলে তিনি ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন।”
বিপ্লব কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুর গ্রামের বাবুলচন্দ্র দাসের ছেলে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে এ ঘটনায় আরও ছয়জনকে আটক করে তাদের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুপমচন্দ্র দেবনাথ (২৩), যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল ইসলাম (২৩), জাহিদুল আলম (২৭), আবুবকর ছিদ্দিক (২৬), সুদীপ্ত নাথ (২৪) ও সজন বরণ বিশ্বাস (২১)।
শোকের মাস উপলক্ষে ১ অগাস্টের প্রথম প্রহরে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে গুলিতে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র খালিদ সাইফুল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দাউদকান্দি উপজেলার তুজার ভাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবদিনের ছেলে।