কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় এক কিশোরীকে ভারতে পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Published : 17 Jun 2016, 06:00 PM
মেয়েটির বাবা মামলা করার পর এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
চরভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ভাওয়ালকুড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও দুই নারী তার মেয়েকে পাচারে জড়িত বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
কিশোরীর বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিন মাস আগে উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের ২৫ বছরের এক যুবকের সঙ্গে তার সপ্তম শ্রেণি-পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে হয়।
গত ৮ জুন মেয়েটি শ্বশুরবাড়ি থেকে তাদের বাড়িতে আসার পর প্রতিবেশী দুই নারী তাকে লোভ দেখিয়ে সাদ্দাম নামে একজনের হাতে তুলে দেয়।
“এর কয়েক দিন পর ভারতে নারী পাচারকারী দলের সদস্য বিশ্বজিৎ মোবাইল ফোনে সাদ্দামের বড় ভাই মজনু মিয়াকে জানায়, মেয়েকে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁও জেলার গাঁইগাঁও থানার ঠাকুরনগর গ্রামের পতিতালয়ে বেচে দেওয়া হয়েছে।”
মামলায় সাদ্দাম, মজনু ও দুই প্রতিবেশীকে আসামি করা হয়েছে বলে ওসি জিয়া লতিফুল জানান।
ভারতে নারী পাচারের ঘটনা এই এলাকায় প্রায়ই ঘটছে বলেও তিনি জানান।