পিরোজপুরের নাজিরপুরে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিএনপির আট নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Published : 26 Apr 2016, 08:08 PM
মঙ্গলবার পিরোজপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম খানসহ আটজন ওই হত্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন।
অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্যরা হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি থেকে ইউপি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. আছাদুজ্জামান শিকদার, উপজেলা যুবদলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল শিকদার, কালাচান বয়াতী, হানিফ শেখ, হায়দার ও শহীদুল।
২০১৪ সালের ১ অক্টোবর উপজেলার সদর ইউনিয়নে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস আলী হামলার শিকার হন। গুরুতর আহত ইলিয়াছকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ অক্টোবর রাতে মারা যান তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আই্নজীবী খান মো. আলাউদ্দিন জানান, হত্যা মামলায় জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম খানের নাম ছিল না।
পরে পুলিশ নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম খানসহ স্থানীয় বিএনপির ২৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গত ১১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মাটি কাটার লেবার সর্দার ইলিয়াসের সাথে স্থানীয়দের টাকার লেনদেন নিয়ে সে হামলার শিকার হয়ে নিহত হন।
“অথচ বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে সরকারি দল আমাদের আন্দোলন সংগ্রামকে স্তিমিত করার প্রয়াস চালাচ্ছে।”