ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ভোট কম পাওয়ার খবর ছড়ানোর পর প্রতিপক্ষের সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
Published : 01 Apr 2016, 09:04 PM
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টগরবন্ধ ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের হিন্দু পল্লীতে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
খোকন বিশ্বাস, কালীপদ ভাণ্ডার, রবিন বিশ্বাস, আনন্দ বালা, তাপস বিশ্বাস, শ্রীবাস বিশ্বাস ও সত্যরঞ্জন বিশ্বাসের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর এবং রোকজনকে মারধর করা হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন।
লাঠির আঘাতে আহত মনুমতি বিশ্বাস (৪৫) ও মলিনা বিশ্বাসকে (৫০) পাশের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া রেখা রানী বিশ্বাস (৪০), ভক্তি বিশ্বাস (৪০), শিবানী বিশ্বাস (৪৫), লক্ষ্মীরানী বিশ্বাস (৪০) ও সুরজিত বিশ্বাস (২৫) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ কুমার বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে টিটা পানাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা চলছিল।
তিনি বলেন, গণনায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. মুরাদ হোসেন অপর ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. নুরু মিয়ার চেয়ে পিছিয়ে পড়ার খবর বের হলে নুরু মিয়ার পোলিং এজেন্ট তাপস বিশ্বাসকে মারপিট করে মুরাদ হোসেনের কর্মীরা।
“একই সময় মুরাদ হোসেনের ১০/১২ জন সমর্থক লাঠিসোটা নিয়ে শিকারপুর গ্রামে হিন্দু পল্লিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাট করে।”
তিনি বলেন, হামলাকারীরা ওই গ্রাম থেকে মূল্যবান মালামালের সঙ্গে তিনটি গরু লুট করে নিয়ে গেলেও রাতে অন্য লোকের মাধ্যমে ফেরত পাঠায়।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি নাজমুল করিম বলেন, ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে এক প্রার্থীর লোকজন এ হামলা চালায়। তিনি বলেন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি বলে জানান তিনি।
আলফাডাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, দুই পক্ষকে উপজেলায় ডাকা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এ সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে পরাজিত সদস্য প্রার্থী মুরাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।