জেলার রাজারহাট আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Published : 18 Jan 2024, 11:03 AM
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামে তাপমাত্র ১০ এর নিচে নামায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সর্বপ্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলার রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন।
সম্প্রতি দেশের যেসব অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাবে সেসব এলাকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সে অনুযায়ী কুড়িগ্রাম জেলায় ওই পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসে।
কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলিসিয়াসের নিচে নেমে গেলে আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় একে শৈত্য প্রবাহ বলে।
বিরাজমান তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে মাঝারি, ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে তীব্র এবং ৪ এর নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্য প্রবাহ ধরা হয়।
কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ায় কনকনে ঠান্ডার আর তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রকৃতি ছিল ঘন কুয়াশায় ঢাকা।
ফলে দিনের বেলায়ও যানবাহনগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
মাঘের শুরুতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে।
টানা ৮ দিন পর গতকাল দুপুরে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল থেকে ফের তাপমাত্রা নিম্নমুখী হয়। এ অবস্থায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে।
কুড়িগ্রামের বেলগাছা ইউনিয়নের সোলেমন মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আজ সেই কুয়াশা পড়ছে। চারিদিক ঢেকে গেছে কুয়াশায়, কয়েক হাত দূরের বস্তুও দেখা যায় না। সেইসঙ্গে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। আমরা বয়স্ক মানুষ, আমাদের খুব সমস্যা। এমন যে আরও কয়দিন থাকে আল্লাহ জানে।”
আলমগীর হোসেন নামে একই এলাকার এক কৃষিশ্রমিক বলেন, “কিছুদিন থেকে খুব ঠান্ডা, আমারগুলার কাজ করা খুব কষ্ট হইছে। আজ আরও ঠান্ডা বেশি হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। যতই শীত ও ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ করায় লাগে আমাদের। না হলে পেটে ভাত জুটে না।”
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার সরকার জানান, এ অবস্থা আরও দু-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।