প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনযাত্রার সুযোগ পাবেন ৩৮৬ অতিথি।
Published : 10 Oct 2023, 10:40 AM
লাখো মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান করে পদ্মা সেতুর রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে মাওয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন পদ্মা পারের লাখো মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী অভ্যর্থনা জানাতে পুরো এলাকা জুড়ে সাজসাজ রব। নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। ব্যানার-ফেস্টুন সজ্জিত করা হয়েছে স্টেশন ও সমাবেশ স্থল। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তোরণে তোরণে সাজানো হয়েছে সড়কগুলি।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আসলাম খান জানান, সুধী সমাবেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর ট্রেন যাত্রাটি স্মরণীয় করে রাখতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, পদ্মার বুক চিরে রেলগাড়ি চলবে, এটা পদ্মার দুই পারের মানুষ তা ভাবতে পারেনি। এই অসম্ভব সম্ভব করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই বেজায় খুশি পদ্মার দুই পারের মানুষ।
সিরাজদিখানের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর খান বাবু বলেন, আজকে রেল চলার মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু পূর্ণতা পাবে। অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।
এর মধ্যেই আমাদের জায়গা জমির দাম বেড়ে গেছে। বাইরের অনেক লোক এখানে আসতে শুরু করেছে। ট্রেন চালু হলে তা আরও বাড়বে।
এদিকে, প্রস্তুত প্রধানমন্ত্রীকে বহনের জন্য করা বিশেষ ট্রেনও। সোমবার বিকালেও ট্রেনটির মহড়া চলে। পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ট্রেনটি মাওয়া থেকে ভাঙ্গা হয়ে আবার মাওয়ায় ফিরে আসে।
এক বগি যুক্ত করে উদ্বোধনী যাত্রার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ১৪ বগির বিশেষ ট্রেনটি এখন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশনের জন্য ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছে। এই ট্রেনেই পদ্মা সেতুর রেলপথ প্রথমবারের মত অতিক্রম করবেন এর স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে মাওয়া স্টেশন প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সুধী সমাবেশে অংশ নিবেন সরকার প্রধান। এতে দেশি-বিদেশি এক হাজার ৬০০ অতিথির অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এরপরই ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের ফলক উন্মোচন করে টিকিট কেটে বেলা ১২টায় মাওয়া থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনযাত্রার সুযোগ পাবেন ৩৮৬ অতিথি। দুপুর ১টায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকালে ভাঙ্গার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণ দিবেন তিনি।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ জানান, নতুন এই রেলপথ চালু হলে ভাঙ্গার সাথে বেনাপোল ও দর্শনাসহ ৬টি রুট যুক্ত হবে পদ্মা সেতুর সাথে। এরপর ধাপে ধাপে যুক্ত হবে মোংলা ও পায়রাসহ নতুন রেলপথ।