ওসি আরও বলেন, “মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় জড়িতরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।”
Published : 08 Mar 2025, 10:59 AM
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ চাচার লাঠির আঘাতে ভাইপোর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মশাসন গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। পর রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির।
নিহত ইউনুস আলী (৪২) ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে। তার চাচা রুহুল আমিন।
নিহতের ভাই খোকন গাজী বলেন, তাদের বাবা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে চাচা রুহুল আমিন, আদম আলীর যৌথ মালিকানাধীন একটি পুকুর আছে। এ পুকুর নিয়ে তাদের মধ্যে আগেও ঝগড়া বিবাদ হয়েছে।
তবে শুক্রবার বিকালের দিকে তার ভাই ইউনুস পুকুরটি থেকে মাছ ধরতে গেলে চাচা রুহুল আমিন বাধা দেন। বাদানুবাদের একপর্যায়ে চাচা লাঠি দিয়ে মাথা ও ঘাড়ে আঘাত করলে মাটিতে পড়ে যায় ইউনুস।
দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করে। তবে অ্যাম্বুলেন্সে সাতক্ষীরা পৌঁছানোর আগেই তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় চাচাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানান খোকন গাজী।
তবে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও রুহুল আমিনকে পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকালে শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, যৌথ মালিকানায় থাকা পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় চাচা রুহুল আমিনের লাঠির আঘাতে তিনি আহত হন।
পরে সাতক্ষীরা নেওয়ার পথে তিনি মারা যায়। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, “মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় জড়িতরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে।”