তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১টি পয়েন্টে একসঙ্গে কয়েক লাখ মানুষ এই মশাল প্রজ্বলন করেন।
Published : 18 Feb 2025, 10:12 PM
‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ভারতের ‘পানি আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে তিস্তার অববাহিকা জুড়ে মশাল প্রজ্বলন করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১টি পয়েন্টে একসঙ্গে কয়েক লাখ মানুষ এই মশাল প্রজ্বলন করেন।
এ সময় তারা ‘ভারতের পানি আগ্রাসন মানি না, মানব না’, ‘পানির ন্যায্য হিস্যা- দিতে হবে, দিতে হবে’ ও ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু কর- করতে হবে’ স্লোগানে তিস্তা পাড় মুখরিত করে তোলেন।
একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে তিস্তাকে শুকিয়ে মারার জন্য ভারতকে ‘পানি আগ্রাসী’ দাবি করে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিও জানান তারা।
একই সঙ্গে অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু এবং পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিস্তা পাড়ের লাখো মানুষ।
কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে এখন ১১টি পয়েন্টে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন।
বুধবার ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার কর্মসূচি। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছিল এই লাগাতার কর্মসূচি। ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানের ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন এই কর্মসূচি দেয়। এতে তিস্তাপাড়ের কয়েক লাখ মানুষ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বায়ক ও রংপুর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ব জনমত তৈরির জন্য। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে আমাদের আন্দোলন চলবে।”