কিশোরগঞ্জে এই মসজিদের দানবাক্সে টাকার পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রা, সোনা ও রুপার অলংকারা পাওয়া গেছে।
Published : 12 Apr 2025, 01:38 PM
চার মাস ১১ দিনের মাথায় আবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। ১১টি দানবাক্সে এবার ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে এসব দানবাক্স খোলা হয়।
টাকার পাশাপাশি দানবাক্সগুলোতে বিদেশি মুদ্রা, সোনা ও রুপার অলংকারা পাওয়া গেছে।
সবশেষ গত বছরের ৩০ নভেম্বর মসজিদের ১০টি দানবাক্স থেকে সর্বোচ্চ আট কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়।
রোজার মাস ও ঈদকে কেন্দ্র করে এবার অন্যান্য বারের তুলনায় কিছুটা দেরিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে বলে জানান কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন আক্তার।
তিনি বলেন, সকালে দানবাক্স থেকে টাকা সংগ্রহের পর তা গণনা শুরু হয়েছে। এতে দুটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় সাড়ে চারশ লোক অংশ নিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা রুপালি ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম বলেন, টাকা গুণতে সারাদিন লেগে যেতে পারে। সন্ধ্যার পর টাকার মোট পরিমাণ জানা যাবে।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, এসব টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এর অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়।
এ ছাড়া দানের টাকায় জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় বলে জানান তিনি।
জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে পাগলা মসজিদটি অবস্থিত। সুউচ্চ মিনার ও তিনটি গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা এই মসজিদটি জেলার ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা।