আশুলিয়ায় একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনসিসির একদল ক্যাডেট সেনাপ্রধানকে গার্ড অব অনার দেন।
Published : 05 Dec 2024, 09:59 PM
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ট্রাফিক ও শৃঙ্খলার কাজে অংশ নেওয়াসহ বন্যার মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-বিএনসিসির প্রশংসা করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
তিনি বলেন, “বিএনসিসির সদস্যরা সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা রক্ষা ও দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে ৫ অগাস্ট পরবর্তী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন কাজে সহায়তা করেছে। বন্যার সময়ও তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে, ত্রাণ বিতরণ করেছে। তাদের কর্মকাণ্ডে আমি অভিভূত।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বিএনসিসির ট্রেনিং একাডেমির ভবন উদ্বোধনে গিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
একাডেমির ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনসিসির একদল ক্যাডেট সেনাপ্রধানকে গার্ড অব অনার দেন।
পরে সেনাপ্রধান ফলক উন্মোচন শেষে বিএনসিসি ট্রেনিং একাডেমিতে গাছ লাগান এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এরপর তিনি বিএনসিসিতে কর্মরত সামরিক অফিসার, বিএনসিসি অফিসার, প্রফেসর আন্ডার অফিসার, টিচার আন্ডার অফিসার ও বিএনসিসি ক্যাডেটদের সামনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বিএনসিসি ক্যাডেটসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও গত জুলাই-অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র- জনতার আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি দেশের ক্রান্তিলগ্নে বিএনসিসি ক্যাডেটদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এসময় সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. মাসুদুর রহমান, ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান, বিএনসিসি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমানসহ সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদের কর্মকর্তা ও বিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।