জালিয়াতিতে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে, বলেন এসপি।
Published : 28 Nov 2024, 05:34 PM
টাঙ্গাইলে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল সদর ও রংপুরের কোতায়ালি থানা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে এসপি সাইফুল সানতু এক সংবাদ সম্মেলনে জানান।
আটকরা হলেন- টাঙ্গাইলের ধনবাড়ির শ্রীহরিপুর গ্রামের এসএম আয়াত (১৯), সদর উপজেলার বাগবাড়ীর গ্রামের মো. জিহাদ (১৯), কালিকৈটাল গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ (১৯), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের মেহেদী হাসান (২৫), দোড়াকান্দর গ্রামের হিমান্ত চন্দ্র রায় আপন (১৯) ও বড়আমবাড়ী গ্রামের তুহিন মিয়া (১৯)।
এসপি বলেন, গত ২০ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এস এম আয়াত, মো. জিহাদ ও মো. আব্দুল্লাহের লিখিত পরীক্ষার খাতায় প্রাপ্ত নম্বর ও তাদের মৌখিক পরীক্ষায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে অসঙ্গতি ও তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। তখন নিয়োগ বোর্ড তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এক পর্যায়ের প্রার্থীরা স্বীকার করেন যে, গত ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় নিজেরা অংশ না নিয়ে অন্য ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ করিয়েছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২০ নভেম্বর সদর থানায় মামলা করে।
গত ২৫ নভেম্বর মামলাটি আদালত থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
পরে চক্রের ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেহেদী হাসান, হিমান্ত চন্দ্র রায় আপন ও বড়আমবাড়ী গ্রামের ওবায়দুল ইসলামের ছেলে তুহিন মিয়াকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে নয়টি বিভিন্ন ব্যাংকের স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক, ৬০টি নকল প্রবেশপত্র, ৭০টি স্বাক্ষরিত ফাঁকা রাজস্ব স্টাম্প ও একটি সিপিইউসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, জালিয়াতির জড়িত চক্রের অন্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।