নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির দায়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির চুক্তিভিত্তিক (আউটসোর্সিং) কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে হাসপাতাল পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বরখাস্ত হওয়া কর্মচারী ইফাদ সেরনিয়াবাত হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বহির্বিভাগের চিকিৎসক তিলোত্তমা শারমিনের অ্যাটেনডেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন।
গত সোমবার দুপুরে হাসপাতালের বহির্বিভাগে তার শ্লীলতাহানির শিকার হন বরিশাল নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী।
ঘটনার বিচার দাবিতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বিক্ষোভ করেন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনার পর কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
“তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান ছিলেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন। আর সদস্যসচিব হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মানবেন্দ্র সরকার ও সদস্য সিনিয়র স্টোর অফিসার ডা. নুরুন্নবী তুহিন।
তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পরিচালক বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে; তাই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: