রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসে যোগ দেওয়ার ১০ দিনেও দায়িত্ব বুঝে পাচ্ছেন না এক কৃষি কর্মকর্তা।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না বলে জানান সদ্য বদলী হয়ে আসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান।
এদিকে, গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি থাকায় দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে আরও সময় লাগবে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন সেক জানান।
এ বিষয়ে কথা হয় জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম সহীদ নূর আকবরের সঙ্গে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত ১৪ নভেম্বর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খানকে রাজবাড়ী সদরে এবং বাহাউদ্দিন সেককে এখান থেকে কমলগঞ্জে বদলীর আদেশ হয়।
গত ২৮ নভেম্বর ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জনি খানকে নতুন কর্মস্থলে পদায়ন এবং বাহাউদ্দিন সেককে অবমুক্ত করে চিঠি দেন।
চিঠি পেয়ে ওই দিনই তিনি রাজবাড়ী সদর কৃষি অফিসে যোগ দেন।
জনি খান বলেন, “বদলীর আদেশ পেয়ে আমি আসি। কিন্তু কৃষি অফিসার বাহাউদ্দিন সেক আমাকে দায়িত্ব দেবেন না বলে জানান।
“একই অফিসে দুজন থাকায় একটি চেয়ারে বসা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।”
বাহাউদ্দিন সেক বলেন, “আমার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করেই জনি খান চলে এসেছেন। অফিসের কিছু কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে কিছুটা দেরি হচ্ছে।”
কাজ শেষ করতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”