“দিনের বেলায় অনেক ভিড়-ঝামেলা থাকে তাছাড়া চাকরি করার ফলে রাতে এসেছেন।”
Published : 20 Mar 2025, 04:10 PM
রোজার ঈদকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে বেচাকেনা। শহরের প্রতিটি মার্কেট, শপিংমল ও বিপণী বিতানে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
সকাল থেকে বেচাকেনায় ব্যস্ত দোকানগুলোয় সন্ধ্যা হলেই ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের। কেনাকাটা চলছে গভীর রাত পর্যন্ত । এর মধ্যে নারীদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মত।
পৌর শহরের ফরিদউদ্দিন টাওয়ার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকানে নিজেদের পছন্দমতো পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। দোকানকর্মীরাও চরম ব্যস্ত।
বুধবার রাত ১০টায় এ মার্কেটে ছেলেকে নিয়ে পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন পৌরশহরের মৌলভীপাড়া এলাকার সুহেল মিয়া।
তিনি বলেন, দিনের বেলায় অনেক ভিড়-ঝামেলা থাকে, তাছাড়া চাকরির কারণে সময় হয় না। তাই রাতেই কেনাকাটা করতে এসেছেন।
ঈদ বাজার করতে বিজয়নগর উপজেলা থেকে শহরে এসেছেন আকলিমা বেগম। তিনি রাতে কেনাকাটা করে শহরের হালদারপাড়া বোনের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার বিজয়নগর ফিরবেন।
আকলিমা বলেন, “পরিবারে ছোট-ছোট বাচ্চা আছে; ঈদ আসলে তাদের নতুন পোশাক লাগবেই। তাই তাদের মুখে হাসি ফুটাতে হলে কিনতে হবে। এজন্য বোনের বাড়িতে আজ থেকে কাপড় কিনে নিয়ে যাব।”
এদিকে, ফরিদউদ্দিন টাওয়ারে লাইক ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী কাজী আরমানুল হক বলেন, “আমরা সকাল ১০টা থেকে দোকান খুলি। তবে এ বছর বেচাকেনা অনেক ভালো। তাই এখন কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী রাত ৩টা-৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে হয়। এছাড়া সাধারণ সময়ে সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখি।”
তিনি বলেন, “এ বছর মেয়েদের পোশাকের মধ্যে ইন্ডিয়ান আনরেডি থ্রি পিচ, পাকিস্তানি থ্রি পিচ, ইন্ডিয়ান গাউন, হিরামান্ডি, ইন্ডিয়ান রেডি থ্রি পিচ, দেশীয় রেডি-আনরেডি কাপড়েরও চাহিদা বেশি।
“অন্যদিকে ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, জিন্স-প্যান্ট, টি-শার্টসহ বাচ্চাদের পোশাকের বেচাবিক্রি এখন বেশি চলছে।”
শহরের হকার্স মার্কেটের স্বত্বাধিকারী প্রদীপ সাহা বলেন, “দুই ঈদেই আমাদের ব্যবসা ভালো হয়। এবারও আশা রাখি ভালো হবে। বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।”
সড়ক বাজারের রং বেরং এর স্বত্বাধিকারী নোমান মাহমুদ বলেন, “আমাদের দোকানে মূলত শাড়ি বেশি বেচাকেনা হয়, তবে এ বছর থ্রি পিচ বেশি যাচ্ছে।”
সদর থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে শহরের ১৭টি পয়েন্টে পুলিশ কাজ করছে। রাতে মার্কেট করতে যেন সমস্যা না হয় সেজন্য বিভিন্ন মার্কেটের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ টহল দিচ্ছে।
এছাড়া শহরের যানজট নিরসনেও বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।