ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত বলে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
Published : 08 Dec 2022, 09:23 PM
গাজীপুরের শ্রীপুরে তুলার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণ পানির সংকটের কারণে ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীপুরের কেওয়া নতুন বাজারে এস বি এস টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেডের তুলার গুদামে আগুন ধরে।
ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের ৮০ জন সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত বলে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী বিশেষ গাড়ির চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশেষ পানিবাহী গাড়িটিতে ১১ হাজার লিটার পানি ধরে। আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের গাড়ির পানি ব্যবহার করেও তুলার গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। পরে কারখানার সংরক্ষণ করা পানি ব্যবহার করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে করা সম্ভব হয়নি। পাশ্ববর্তী অপর আরেকটি কারখানার মজুদ করা পানি ও পাশের একটি ডোবা থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর কাজ করা হয়। এক পর্যায়ে পানি ফুরিয়ে গেলে বিশেষ পানিবাহী গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনে। যানজট পার হয়ে সেখানে থেকে গাড়ি ভরে পানি আনতে দেড় ঘন্টা সময় লেগে যায়।
চারদিক থেকে আগুন নেভানোর কাজ করা গেলে আগুন ছড়াত না বলে তিনি মনে করেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য বলেন, পানি সংকটে কিছু সময় বন্ধ ছিল আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। পরে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ পুনরায় শুরু হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ইউনিট বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সাত ইউনিটের কাছে যে সরঞ্জাম আছে তা যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যেত তা হলে অনেক আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো। মূলত পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।”
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, শ্রীপুরের কেওয়া নতুন বাজার এলাকায় এস বি এস টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেডের একটি কারখানার তুলার গুদামে বেলা সাড়ে ১১টায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি, জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি, কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ও ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটসহ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
তিনি বলেন,“ গুদামে অনেক তুলা মজুদ ছিল; কিন্তু কী পরিমাণ তুলা মজুদ ছিল তা নিশ্চিত নয়। এটা অনেক বড় একটা তুলার গুদাম। গুদামে আগুন লাগার সাথে সাথে দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ায় আমাদের সাতটি ইউনিট আসায় অনেক সময় লেগেছে। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যবস্থা করেছি। যে স্টোর নীতি আছে, যে স্টোর নীতি থাকা দরকার সে ধরনের নীতি এখানে মানা হয়নি। একটা থেকে আরেকটা যে দূরত্ব থাকার থাকা সেটা এখানে নাই।
পানির সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, “কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যে সরঞ্জামাদি আছে সেভাবে আমরা কারখানায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাইনি। তাদের হাইড্রেন্ড ব্যবস্থাপনার পানিতে খুব বেগ পাইনি। আমরা আশপাশের কারখানা থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি পাশের একটি পুকুর থেকেও পানি আনা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হবে।”
আগুন বিষয়ে কারখানায় মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. আজমল হোসেন বলেন, “আমাদের এখানে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা আছে ও হাইড্রেট ব্যবস্থা আছে। আগুন লাগার পরপরই হাইড্রেট ব্যবস্থাপনার লাইনগুলো পুড়ে যায়।
তবে কোথা থেকে আগুন লেগেছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: