২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানান এপিপি।
Published : 24 Apr 2025, 06:21 PM
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দেবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া নিহতের শ্বশুর ও শাশুড়িকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতি এ আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া রিপন গাজী (৪০) উপজেলার পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়ার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম গাজীর ছেলে। যাবজ্জীবন পাওয়ারা হলেন- সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শাহানারা বেগম।
হত্যার শিকার গৃহবধূ ফাতেমা (২৫) প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী। তিনি নারায়ণগঞ্জের গোরা কান্দাইল এলাকার প্রয়াত জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে।
মামলার বরাতে এপিপি মন্টু বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে ফাতেমার সঙ্গে তার শাশুড়ি শাহানারার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ফাতেমার গলায় চেপে ধরার পাশাপাশি তার পেটে লাথি মারেন আসামিরা। এতে ঘটনাস্থলে ফাতেমা মারা যান।
পরে আসামিরা লাশ গুম করার উদ্দেশে বাড়ির পাশে পুকুরে লুকিয়ে রাখেন। ঘটনার পরদিন সকালে লাশ ভেসে উঠলে পুকুর থেকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ফাতেমার ভাই ইউসুফ খান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন বলে জানান এপিপি।
তিনি বলেন, তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন হাইমচর থানার পরিদর্শক আব্দুস সামাদ তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করেন।
২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ১৬ বছর পর আসামিদের একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মন্টু।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম এবং জুয়েল রানী শীল।