“খালু শহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার তালাক দেওয়া স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে জানতে পেরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।”
Published : 07 Mar 2025, 05:21 PM
যশোর শহরের বকচরে এক ব্যক্তির দুই চোখ ‘তুলে ফেলার’ ঘটনায় তার শ্যালিকার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে যশোর শহরের পালবাড়ী খয়েরতলা মোড় থেকে সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেন তারা।
আটক ২৮ বছর বয়সী সাদ্দাম হোসেন বকচর বিহারি কলোনির শাহ জামাল ওরফে শাহ আলমের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “তালাক দেওয়া স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের কারণে সাদ্দাম তার আপন খালু শহিদুল ইসলামের চোখ উপড়ে দিয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।”
এ ঘটনায় আক্রান্ত ৫৫ বছর বয়সী শহিদুল ইসলাম একই এলাকার কবরস্থান পাড়ার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে বকচরে বৃহস্পতিবার রাতে শহিদুল ইসলামের চোখ উপড়ে ফেলা ফেলার ঘটনা ঘটে। তাকে ওই রাতেই যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার পরপর তার স্ত্রী হাসনা হেনা বলেছিলেন, “মাদক সেবন দেখে ফেলায় সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।” দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী ভিন্ন কথা বলেন।
‘মাদক নেওয়া দেখে ফেলায়’ তুলে ফেলা হল দুই চোখ
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বকচরের করিম ফিলিং স্টেশনের পাশে কবরস্থান সড়কের আল-আমিনের মুদি দোকানের সামনের রাস্তায় শহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তার বুকের ওপর বসেন সাদ্দাম। পরে ডান হাতের দুই আঙ্গুল দিয়ে দুই চোখ উপড়ে দেন। এ সময় শহিদুলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে গেলে সাদ্দাম পালিয়ে যান।
“এ সময় শহিদুলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসদের পরামর্শে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
নৃশংস এ ঘটনার খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধীকে শনাক্ত করে।”
সাদ্দামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “খালু শহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার তালাক দেওয়া স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে জানতে পেরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেয় যে, চোখ দিয়ে সে সাবেক স্ত্রী’র দিকে তাকায় তা সে উঠিয়ে ফেলবে। সে অনুযায়ী সাদ্দাম এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।”