বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের দেখা গেছে।
Published : 09 Aug 2024, 10:38 PM
তীব্র গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দিন থেকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও ধীরে ধীরে তা শান্ত হতে শুরু করেছে।
এ দুই উপজেলার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এ ছাড়া উপজেলা শহরে নিরাপত্তার পাশাপাশি তারা পরিচ্ছন্নতা ও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার মেজর মো. মেজবাউর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল দুই উপজেলার অর্ধশতাধিক মন্দির ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনে গিয়ে আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেজবাউর রহমান বলেন, “আইনশৃঙ্খলার অবনতি যারাই ঘটাবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।”
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার দূর্গাবাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন সেনাসদস্য মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
শ্রীমঙ্গল জগবন্ধু মন্দিরের প্রধান সেবায়েত প্রিতম বন্ধু বহ্মচারী জানান, সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের মন্দির পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া এলাকায় নিয়মিত টহলসহ যেকোনো সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কমলগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীত রঞ্জন দেবনাথ জানান, থানায় কোনো পুলিশ সদস্য নেই। এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল ও মন্দির পরিদর্শনে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন থেকে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সেইসঙ্গে ৫ অগাস্ট থেকে থানাগুলোতে পুলিশ না থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে।