“যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে শহীদ জননীর আহ্বানে সংগঠিত গণ আদালত ছিল দেশের জন্য টার্নিং পয়েন্ট; যা পরবর্তীতে বিচারের পথ দেখিয়েছে।”
Published : 26 Jun 2024, 11:17 PM
কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত পরিবেশন ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে স্মরণ করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির উদ্যোগে শহীদ জননীর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ জননীর স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ ছাড়া কবিতা আবৃত্তি করেন স্বপ্না চক্রবর্তী ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন তীর্যক মণ্ডল।
প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় সাতক্ষীরার একাত্তরের বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির দ্বিধাবিভক্তি দেশের মৌলবাদবিরোধী লড়াইকে সাংঘাতিকভাবে বিভ্রান্ত করেছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রজন্মের কাছে বিকশিত করেছেন জাহানারা ইমাম।”
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমনের সভাপতিত্ব সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, “জাহানারা ইমামের শৈশব কেটেছে সাতক্ষীরায়। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে মানুষকে সংগঠিত করতে এখানে এসেছিলেন।
“বিশাল জনসভা করেছেন। জনসভায় বক্তব্য দিয়ে মানুষকে মৌলবাদবিরোধী সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।”
ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে শহীদ জননীর আহ্বানে সংগঠিত ‘গণ আদালত’ ছিল দেশের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট; যা পরবর্তীতে বিচারের পথ দেখিয়েছে। আজকে সেই কাজটির সফল বাস্তবায়নের পথে হাঁটছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”
সভায় স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, জাসদের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সদস্যসচিব মুনীর উদ্দিন, শিল্পকলা একাডেমির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মুসফিকুর রহিম মিল্টন, কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম, মহিলা পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জোসনা দত্ত, শ্রমিক নেতা মহব্বত হোসেন, রবিউল ইসলাম, উন্নয়ন কর্মী মহুয়া মঞ্জুরী এবং কবি রুবেল হোসেন বক্তব্য দেন।