উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জানান, ফুলকপি চাষে কৃষকদেরকে বীজ সরবরাহ ও পরামর্শসহ সার্বিকভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।
Published : 10 Feb 2024, 08:11 PM
স্বাদ, স্বাস্থ্য গুণ ও বাজারদর ভাল হওয়ায় নতুন জাতের রঙিন ফুলকপির চাষে আগ্রহ বাড়ছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃষকদের মধ্যে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলায় গতবারের চেয়ে এ মৌসুমে রঙ্নি ফুলকপির চাষ ২০ গুণ বেশি হয়েছে। গতবার ৩৩ শতাংশ জমিতে এ সবজির চাষ হলে এবার তা এসে দাঁড়িয়েছে ৬৬০ শতাংশ জমিতে।
উপজেলার বড় আজলদি গ্রামের কৃষক আবুল হাশিম এবার ২০ শতাংশ জমিতে রঙিন ফুলকপি আবাদ করেছেন।
তিনি বলেন, “এ কপির ফলন ভালো, অল্প সময়ে উৎপন্ন হয় এবং স্বাদ ও বাজার দরও ভালো। তাই আগামী বছর আরও বেশি জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করব।”
একই কথা বলছিলেন বড় আজলদি গ্রামের কৃষক আকরাম হোসেন।
তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ বিষমুক্ত পদ্ধতিতে চাষ হওয়া সুস্বাদু রঙিন ফুলকপির ফলন সাদা কপির তুলনায় বেশি। ফলে এই ফুলকপি নিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।”
১৫ শতাংশ জমিতে বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করা একই উপজেলার আঙ্গিয়াদি গ্রামের সালমা খাতুন বলেন, “আগে সাদা জাতের ফুলকপির তেমন দাম পাইনি। বর্তমান বাজারে একটি সাদা কপি যেখানে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেখানে বেগুনি কপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে। এ ফুলকপি ক্রেতারা জমি থেকেই কিনে নিয়ে যায় বলে ঝামেলা কম।”
প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা পেলে এ অঞ্চলের আরও কৃষক রঙিন জাতের ফুলকপি চাষ করতে আগ্রহী হবেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে মনে করছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, কোনো রকম কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই চাষ করা এ জাতের কপিতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-এ, অ্যান্টি অক্সিজেন, অ্যান্থোসায়ানিন, পর্যাপ্ত আঁশ ও ক্যান্সার রোধক উপাদান।
“এসব গুণের পাশাপাশি খেতে সুস্বাদু হওয়ায় রঙিন জাতের ফুলকপি নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের মাঝে। এর ফলে বাজার দর বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের মাঝেও এ ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।”
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিম উল হক সোহাগ বলেন, পাকুন্দিয়ায় রঙিন জাতের ফুলকপি চাষে কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে বীজ সরবরাহ ও পরামর্শ প্রদানসহ সার্বিকভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে।