২০২৩ সালের নভেম্বরে উপজেলার রাজস্ব সভায় খাস জমি দখল মুক্ত করতে ‘মৃত্তিকা অভিযান’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
Published : 11 Feb 2024, 08:47 PM
নেত্রকোণার মদন উপজেলায় দুই মাসে অভিযান চালিয়ে বেদখল থাকা ২২৫ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া জমিগুলো সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও হতদরিদ্র কৃষক পরিবারে মাঝে বন্দোবস্ত দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মদন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম আরিফ জানান, বেদখল সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত করতে চালানো ‘মৃত্তিকা অভিযানের’ অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বর ও চলতি জানুয়ারিতে ২২৪ দশমিক ৫৭ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া জমির মধ্যে মদন উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরপুর তহশিলের হাসকুড়ি মৈধাম মৌজার ৫ দশমিক ৯৭ একর, সদর ইউনিয়নের মদন মৌজার ৯ দশমিক ৮৫ একর, গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের গোবিন্দশ্রী মৌজার ১৪৫ দশমিক ৩২ একর, মনিকা মৌজার ৪০ দশমিক ২৫ একর, পদমশ্রী মৌজার ৬ দশমিক ৫৪ একর, মাঘান ইউনিয়নের রানীহালা মৌজার ১৩ দশমিক ১১ একর, তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাঘমারা মৌজার ০ দশমিক ৭৯ একর ও ফতেপুর ইউনিয়নের হাসনপুর তহশিলের ফতেপুর মৌজার ৩ দশমিক ১৩ একর রয়েছে।
সহকারী কমিশনার বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে রাজস্ব সভায় সরকারি খাস জমি বেদখল হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সভা থেকে জমি দখল মুক্ত করার জন্য ‘মৃত্তিকা অভিযান’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত আসে। তারই প্রেক্ষিতে ডিসেম্বর মাসে জমি উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু হয়।
“উদ্ধার করা সোয়া দুইশো একর সরকারি খাস জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। জমিগুলো সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও অসহায় হতদরিদ্র কৃষক পরিবারে মাঝে বন্দোবস্তু প্রদানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
এরই মধ্যে ৯৫টি লিখিত আবেদন পড়েছে; যাচাই বাছাই শেষে জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হবে। তবে উদ্ধার জমি এ বছর সহকারী ভূমি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় কৃষকদের বোরো চাষাবাদ করতে দেওয়া হয়েছে বলে জানান আরিফ।
মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া বলেন, রাজস্ব সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেদখল হওয়া সরকারি খাস জমি উদ্ধারের জন্য ‘মৃত্তিকা অভিযান’ অব্যাহত থাকবে। সেইসঙ্গে উপজেলার কোথায় কতটুকু সরকারি খাস জমি বেদখল আছে তাও খোঁজা হচ্ছে।
“যেখানেই যার দখলেই থাকুক, সরকারি জমি উদ্ধার করা হবে এবং প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ওই জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হবে।”