“এবার থেকে একজন মিলারের একটি লাইসেন্স থাকবে। বাকি লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
Published : 31 Jan 2024, 10:31 PM
অবৈধভাবে গমের মজুত রাখায় কুষ্টিয়ার খাজানগরে খাদ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুটি গুদাম সিলগালা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দেশে খাদ্যশস্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি রোধে ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যে বুধবার দুপুরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম খাজানগরে আকষ্মিক পরিদর্শনে যান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
এ সময় বিধি লঙ্ঘন করে ১৫০ টন গম অবৈধভাবে মজুত রাখায় সুবর্ণা এগ্রো ফুডের দুটি গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়।
পরে সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে খাদ্যমন্ত্রী চাল ও ধানকলের মালিক, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা।
এ সময় মন্ত্রী যৌক্তিক কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে দেশের চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, “অতি মুনাফার জন্য পরিকল্পিতভাবে চালের বাজারদরকে যারা অস্থির করে তুলছে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। এরপরও যদি কাজ না হয়, নির্দেশ না মানে তাহলে জেল-জরিমানা, লাইসেন্স বাতিলসহ মিল বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে অবৈধ মজুতদারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং অনেকেই জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠান সিলগালা হচ্ছে।”
এ সময় চালকল মালিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, “একজন মিল মালিকের তিন থেকে চারটি পর্যন্ত লাইসেন্স আছে। কিন্তু এবার থেকে একজন মিলারের একটি লাইসেন্স থাকবে। বাকি লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
চালের মোকাম পরিদর্শনকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।