রবিউল ইসলামকে বদলি করা হলেও তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে বদলি ঠেকানোর তদবির করেন।
Published : 14 Jun 2024, 08:14 PM
শেরপুরের বালিজুরী রেঞ্জের সাময়িক বরখাস্ত বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় ৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে থানায় জিডি হয়েছে।
শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এজাহার দেন। পরে সেটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয় বলে জানান শ্রীবরদী থানার ওসি মো. কাইয়ুম খান সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, জিডি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদকের সমন্বিত কার্যালয় জামালপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিউল ইসলামের বাড়ি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ২০১৬ সাল থেকে বালিজুরি রেঞ্জের একাধিক বিটের বিট কর্মকর্তা ও শেষে রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে ফরিদপুর বনবিভাগে যুক্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।
এজাহারে বলা হয়, রবিউল দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এমনকি দায়িত্ব থেকে অপসারিত হওয়ার পরেও গাছ বিক্রির ৯ কোটি ৩১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯৫ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাত করেন।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহ বিভাগীয় বনবিভাগ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পায়।
বনবিভাগের কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী জানান, বরিউল দাপটের সঙ্গে চাকরি করতেন। কাউকে পরোয়া করতেন না। এমনকি তাকে বদলি করা হলেও তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে বদলি ঠেকানোর তদবির করেন।
কিন্তু না পেরে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সুমন মিয়াকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বাধ্য হন রবিউল। এরপরই তার অনিয়মের বিষয়টি সামনে আসে। তাকে সরকারি কোষাগারে টাকা বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি টাকা না দিয়ে গা ঢাকা দেন।