‘গ্রাহক সেজে অর্থ আত্মসাৎ’, সাউথইস্ট ব্যাংকের ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নরসিংদী শাখায় ওডি ঋণ হিসাব খুলে তারা ২৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন বলে জানায় দুদক।

নরসিংদী প্রতিনিধি গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2023, 06:23 PM
Updated : 18 Oct 2023, 06:23 PM

গ্রাহক সেজে ঋণ তুলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাউথইস্ট ব্যাংকের নরসিংদী শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া।

আসামিরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার চর মুগরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাউথইস্ট ব্যাংক নরসিংদী শাখার কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ খালেদ রউফ এবং একই শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নরসিংদীর শিবপুর থানার পুটিয়া কামারগাঁও গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে সাতটি জাল ওভারড্রাফট (ওডি) ঋণ হিসাব খুলে ২৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ দেখিয়ে নিজেরাই ঋণগ্রহীতা সেজে তা উত্তোলন করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, “খালেদ রউফ ব্যাংকটির নরসিংদী শাখা থেকে জালিয়াতি করে ওডি হিসাব খুলে ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি ব্যাংকিং সিস্টেমে ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই জনৈক আবেদা সুলতানার নামে তিন লাখ টাকার একটি ওডি ঋণ হিসাব খোলেন।

“পরে ওডি হিসাব খোলার কোনো ডকুমেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই হিসাব থেকে বিভিন্ন তারিখে দুই লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা মো. কামরুলের নামে ভুয়া সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করা হয়।

একইভাবে শাখার কোর ব্যাংকিং সিস্টেমে ২০১৭ সালের বিভিন্ন তারিখে আশা রানী সাহার নামে তিন লাখ টাকা, বিথি রায়ের নামে তিন লাখ, নারায়ণ চন্দ্রের নামে তিন লাখ, আবু হানিফের নামে চার লাখ টাকার চারটি ওডি ঋণ হিসাব খুললেও ফাইল শাখায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। একইভাবে তাদের নামে আরও পাঁচটি ওডি ঋণ হিসাব খুলে টাকা আত্মসাৎ করা হয়।”

দুদকের সহকারী পরিচালক সেলিম জানান, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত করা এ জালিয়াতির বিষয়ে দুদকে অভিযোগ করেন সাউথইস্ট ব্যাংকের গ্রাহক সুমা আক্তার। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, “তার পেনশন ডিপোজিট স্কিম লিয়েন রেখে মোহাম্মদ তানভীরকে ঋণ প্রদানের নামে কোনো অথরিটি তিনি শাখাকে দেননি।”

একইভাবে জালিয়াতি করে উল্লেখিত টাকা আত্মসাৎ করেন ওই দুই কর্মকর্তা; যা তদন্তে উঠে আসে বলে জানান দুদকের এ কর্মকর্তা।