ঘটনার পাঁচ দিন পর ওই কিশোরীর মা তিনজনের নামে থানায় মামলা করেছেন।
Published : 08 Jan 2025, 11:38 PM
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় রাতে বাড়ি থেকে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
জড়িতরা বিষয়টি তিন লাখ টাকায় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে দাবি ভুক্তভোগীর মায়ের।
ঘটনার পাঁচ দিন পর বুধবার সকালে ওই কিশোরীর মা তিনজনের নামে মামলা করেন বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান।
আসামিরা হলেন- উপজেলার ভোলাগঞ্জের বাসিন্দা কালা মিয়া (৫০), একই এলাকার সুজন মিয়া (২৫) এবং ফারুক (২৪)।
মামলার বরাতে ওসি আদনান বলেন, “১৫ বছরের ওই কিশোরী তার পরিবারের সঙ্গে উপজেলার একটি কলোনিতে ভাড়া থাকেন। ৩ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে দুই থেকে তিনজন ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যান।
“পরে রাত ২টার দিতে তাকে উপজেলার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এ সময় ওই কিশোরী চিৎকার করলে তাকে মারধর করে জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলা হয়। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।”
ওই কিশোরীর মা সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এ এলাকায় ভাড়া থাকি, নিরীহ মানুষ। অন্য জেলার বাসিন্দা। আমার মেয়েকে তারা ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন সে কিছুটা ভাল।
“তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম; আমার মেয়েটি অবুঝ। আমার মেয়ের মান-সম্মান সব শেষ হয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই।”
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে জড়িতরা তাকে চাপ প্রয়োগ করেন বলে দাবি ওই কিশোরীর মায়ের। তিনি বলেন, “তারা তিন লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। রাজি না হওয়ায়, আর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পারেননি।
ওসি আদনান বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। এ ছাড়া ভিকটিমের সঙ্গে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা কথা বলেছেন।”