ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে নিরাপত্তা সতর্কতা হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে নৌযান চলাচল দ্বিতীয় দিনও বন্ধ রয়েছে। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক আছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচার নৌ-ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এস এম সাজ্জাদুর রহমান জানান, শনিবার সকালে এ দুই রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়; পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবত থাকবে।
এদিকে, নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় এ দুই রুটের যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে যারা লঞ্চ ও স্পিডবোটের যাত্রী। বাধ্য হয়ে ফেরি ও অবৈধ ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন অনেকেই।
ঢাকা থেকে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটে অপেক্ষায় থাকা কামাল হোসেন বলেন, “ঢাকা থেকে রাজবাড়ীর উদ্দেশে পাটুরিয়ায় এসেছি। এখানে এসে দেখছি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ। বিআইডব্লিউটিএ-এর দায়িত্বরত লোকজন ঘাটে আসা শত শত লঞ্চযাত্রীদেরকে ফেরিতে পার হওয়ার জন্য বলছেন।”
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট ঘুরে দেখা যায়, লঞ্চ-স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘাটে ফেরিতে সাধারণ যানবাহন লোড আনলোডে বিলম্ব হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে নদী পার হচ্ছেন। উভয় ঘাটের ৩২টি লঞ্চ ও আরিচায় শতাধিক স্পিডবোট নোঙর করে রাখা হয়েছে।
পাটুরিয়া নৌ থানার ইন্সপেক্টর মো. মিজানুর রহমান বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক গত দুইদিন পাটুরিয়া ও আরিচা নৌপথের ফেরি ব্যতিত সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।”
এ অঞ্চলে আবহাওয়া এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকলেও লঞ্চ ও ছোট নৌযান যাতে চলাচলে বিরত থাকে সেদিকে সতর্কতামূলক প্রচারণাসহ ঘাট এলাকায় পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে বলে জানান তিনি।
পুলিশের অগচরে ঘাট এলাকার বাইরে থেকে কিছু ট্রলারে যাত্রী বহন করা হলে তা বন্ধের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান নৌ পুলিশের এই কর্মকর্তা।