ছয় শিশুসহ উদ্ধার হওয়া সবাই পুরুষ। যাদের পাঁচ জন বাংলাদেশি এবং ১০ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
Published : 24 Jan 2025, 04:49 PM
কক্সবাজারের টেকনাফের গহীন পাহাড়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছয় শিশুসহ অপহৃত ১৫ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় দুইজনকে আটক করা হয়েছে, যারা অপহরণ চক্রের সদস্য বলে দাবি পুলিশের।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম কচ্চপিয়ার পাহাড়ে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
শিশুসহ উদ্ধার হওয়া ১৫ জনই পুরুষ। যাদের পাঁচ জন বাংলাদেশি এবং অন্যরা রোহিঙ্গা নাগরিক।
আটকরা দুজন সহোদর। তারা হলেন- বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্চপিয়া করাচি পাড়ার নুরুল কবিরের ছেলে মো. হারুন (২৫) ও নুর মোহাম্মদ (১৯)।
পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল মধ্যম কচ্চপিয়া এলাকার নুরুল ইসলাম মেম্বারের বসতবাড়ীর পিছনে গহীন পাহাড়ের চূড়ায় অভিযান শুরু করে।
“এ সময় ১০-১৫ জন পালিয়ে গেলেও অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা সম্ভব হয়। পাহাড়ের আস্তানায় জিম্মি করা অপহৃত ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়।”
পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার হওয়ারা জানিয়েছেন- তারা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। অপহরণ চক্রের সদস্যরা ধাপে ধাপে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ১৬-১৭ দিন ধরে তাদের জোরপূর্বক গহীন পাহাড়ের চূড়ায় আটক করে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, “অপহরণ চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশি ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ধরে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে আসছে।”
এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরের বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০৮ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একই সময়ে উখিয়ায় বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করা হয়।