নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রী হত্যা, জাবিতে প্রতিবাদ

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কবির স্মরণি, কামালউদ্দিন হলের সামনের সড়ক হয়ে মওলানা ভাসানী হল সংলগ্ন বটতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2022, 07:23 PM
Updated : 26 Sept 2022, 07:23 PM

নোয়াখালীতে এক স্কুলছাত্রীকে হত্যা ও দেশব্যাপী চলমান নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ইরানে চলা আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানায় তারা।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কবির স্মরণি, কামালউদ্দিন হলের সামনের সড়ক হয়ে মওলানা ভাসানী হল সংলগ্ন বটতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মৌটুসি জোবায়দা রহমান বলেন, “পোশাক মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আমাদের সমাজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে কেমন পোশাক পড়তে হবে তা ধরিয়ে দেওয়া হয়। দেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে নারী উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে। সব ধরনের নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।”

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি আবু সাইদ বলেন, “এখন দেশে এমন এক সংস্কৃতি দাঁড়িয়ে গেছে, যাকে ধর্ষণ করবে তাকে খুন করতে হবে; এমনটা প্রতিনিয়ত ঘটছে। কারণ রাষ্ট্র এটাকে আরও প্রভাবিত করছে। তারা বিচার করছে না। দেশে এখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।”

“গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী আমরা দেখি, মাত্র তিন শতাংশ ঘটনার বিচার হচ্ছে; ৯৭ শতাংশের বিচার হচ্ছে না। আমরা খুন ও ধর্ষণের বিচার চাই।”

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সমাজকল্যাণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাদিয়া মুন বলেন, “আমরা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বর্তমানে দেশে নারীদের দাবায়ে রাখার যে সংস্কৃতি আছে, সে সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।”

সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সামি আল জাহিদ প্রিতমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি, একই সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক তাপসী দে প্রাপ্তি।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালী জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই রাতেই নিহতের সাবেক গৃহশিক্ষক, এক যুবক, কিশোর বয়সী ভাই ও স্কুলছাত্রীর চাচাকে আটক করা হয়।

অপরদিকে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাশা আমিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল কুর্দিস্তান প্রদেশ থেকে রাজধানী তেহরানে আসেন। ‘অসভ্য’ পোশাক পরার অভিযোগে ইরানের নীতি পুলিশ মাশাকে আটক করে। পরে পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়।