সকালে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মানুষ ও যানবাহনের কিছু চাপ থাকলেও দুপুরের মধ্যেই তা কমে যায়।
Published : 30 Mar 2025, 07:05 PM
দুই মহাসড়কের গাজীপুর অংশে ঈদের আগের দিন ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের কোনো চাপ নেই।
রোববার বেলা ১১টার পর থেকেই গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রায় যানবাহন শূন্য হয়ে পড়ে।
এর আগে দুই মহাসড়কের এ অংশে যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজট ছিল না।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের এডিসি (ট্রাফিক) অশোক কুমার পাল বলেন, গাজীপুরের সব কলকারখানা শনিবার বিকালের মধ্যেই ছুটি হয়ে গেছে। তবে এবার কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে একসঙ্গে চাপ কম পড়েছে। এছাড়া অধিকাংশ কারখানা ১০ দিন ছুটি হওয়ায় কর্মীরা ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরেছেন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা যাওয়ায় শনিবার রাতেই বিপুলসংখ্যক মানুষ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। এতে মধ্যরাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড, কলেজ গেইট, চেরাগ আলী, বোর্ড বাজার, চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনের চাপ পড়ে। যা রোববার সকাল পর্যন্ত ছিল।
অন্যদিকে, শনিবার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর বাজার থেকে চন্দ্রা হয়ে টাঙ্গাইলের গোড়াই পর্যন্ত ও নবীনগর-চন্দ্রা রোডের চক্রবর্তী পর্যন্ত যানবাহনে চাপ ছিল।
স্থানীয় ভোগড়া বাইপাস কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, মূলত গাজীপুরের অধিকাংশ ব্যবসা গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকদের ঘিরে।
শ্রমিকরা শনিবার রাতেই বাড়ি চলে যাওয়ার রোববার সকাল হতে এসব ব্যবসায়ী ও রিকশা চালকরা বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন।
এ সময় মহাসড়কে মানুষের সাময়িক চাপ সৃষ্টি হলেও বেলা ১১টার পর তা কমে গেছে।
নাওজোর হাইওয়ে থানার ওসি রইছ উদ্দিন বলেন, “শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে বেশ চাপ ছিল। তবে মধ্যরাতের পর থেকেই স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সকালের দিকে মহাসড়কে কিছুটা চাপ সৃষ্টি হলেও কোথাও যানজট ছিল না।”