শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ তরুণীরা নিজ নিজ গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে অংশগ্রহণ করেন।
Published : 04 Apr 2023, 01:08 AM
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত নানা জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ ও বিদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবির’ পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজন শুরু হয়েছে। বৈসুক-সাংগ্রাই-বিজু-বিহু একসঙ্গে বৈসাবি নাম পরিচিত।
সোমবার বিকালে বৈসাবি উপলক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ তরুণীরা নিজ নিজ গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রাটি রাঙামাটি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউট মিলনায়তন মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ফিতা কেটে ৫ দিনব্যাপী আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
এ সময় উপস্থিত অতিথিরা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিকতা উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ পাহাড়ি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই বিজু-বিষু-বিহু-সাংগ্রাই-বৈসুক মেলা। মেলায় বিভিন্ন পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোষাকসহ পাহাড়ের নারীদের হাতে ও তাঁতে বোনা কাপড়, ব্যাগসহ নানা হস্তশিল্পের স্টল বসানো হয়েছে। মেলায় ৮০টি স্টল বসানো হয়।
এছাড়া পাঁচ দিনব্যাপী মেলায় ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলা, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ঐতিহ্যবাহী যন্ত্র সংগীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মঞ্চ নাটক অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচদিন ব্যাপী এ মেলা আগামী ৭ এপ্রিল শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। আগামী ১২ এপ্রিল ফুলবিজু, ১৩ এপ্রিল মূলবিজু অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনা সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি ব্রিগেডের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমতাজ উদ্দীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া। এছাড়া আলোচনা সভায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।