হোটেল মোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন; রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি; মাইক্রোবাস, জীপ ও পিকআপ মালিক সমিতি এ ঘোষণা দেয়।
Published : 13 Dec 2022, 05:39 PM
শীত মৌসুমে বান্দরবানে পর্যটকদের জন্য হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও পর্যটকবাহী পরিবহনে ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে তিনটি সংগঠন।
মঙ্গলবার জেলা প্রেস ক্লাবে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে হোটেল মোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এবং মাইক্রোবাস, জীপ ও পিকআপ মালিক সমিতি এ ঘোষণা দেয়।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযানের মধ্যে রোয়াংছড়ি ও রুমায় পর্যটক ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এই ঘোষণা এল পর্যটন সেবা সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বান্দরবান হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, বছরে এই সময়ে বান্দরবানে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় জমান। শীতের শুরু বান্দরবান ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময়।
“পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের জন্য ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পণ্য ও সেবায় ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে ৩০ পারসেন্ট, পর্যটকবাহী পরিবহনে ২০ পারসেন্ট ও খাবার হোটেলগুলোতে ১০ পারসেন্ট করে ছাড়া দেওয়া হবে। তবে পরবর্তীতে ছাড় দেওয়ার সময় আরও বাড়ানো হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মাস্টার ও মাইক্রোবাস, জীপ ও পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বান্দরবান ও রাঙামাটির সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযানের কারণে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
১৮ অক্টোবর থেকে কয়েক দফায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর পর ১১ ডিসেম্বর অনির্দিষ্টকালে জন্য আবার এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে। এই দুই উপজেলায় ১১ বার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
১১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্ব) লুৎফর রহমান (উপসচিব) স্বাক্ষরিত সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বান্দরবান সদর সেনা রিজিয়নের পত্রের আলোকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে বান্দরবানের ৭টি উপজেলার মধ্যে শুধু রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
তবে অন্যান্য উপজেলায় যথারীতি ভ্রমণ করা যাবে বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়।