ভোটাররা ময়মনসিংহ-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়কে সামনে আনছেন।
Published : 03 Jan 2024, 12:32 AM
গত তিনটি নির্বাচন বলতে গেলে প্রায় হেসেখেলেই নৌকা নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছেন অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন। ভোটের অংকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা পাঁচবারের সংসদ সদস্য এই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার ধারেকাছেও ভিড়তে পারেননি।
কিন্তু এবার? ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভোটাররা মনে করছেন, এবার এখানে ভোটের অংক অনেক জটিল। শেষ পর্যন্ত কী হবে সেটা এখনেই বলা যাবে না।
কারণ হিসেবে তারা তিনটি বিষয়কে সামনে আনছেন। ‘গৃহবিবাদের’ জেরে মোসলেমের বড় মেয়ে সেলিমা বেগম সালমা রাজনীতির মাঠে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন; সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন এবং দীর্ঘদিনের ‘এমপি পরিবারের’ কর্তৃত্বের অবসানের বিষয়টিও ভোটের মাঠে সমানতালে নিয়ে এসেছেন তার প্রতিপক্ষকে।
আওয়ামী লীগের ‘ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত ফুলবাড়িয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ-৬ আসনে মোট প্রার্থী আছেন ছয়জন। এর মধ্যে মোসলেমের নৌকা, মালেক সরকারের ট্রাক আর সালমার ঈগলের প্রচার সমানতালে চলছে। বাকিদের প্রচার চললেও ভোটের মাঠে তাদের অবস্থান গৌণ।
প্রার্থীদের পোস্টার আর মাইকিংয়ে জমে উঠতে শুরু করেছে নির্বাচনি আমেজ। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পাল্লা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন ভোটারদের নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় ময়মনসিংহ জেলার ১১টি আসনের মধ্যে নয়টিতেই বিভক্তি দেখা দিয়েছে। ফুলবাড়িয়াও তার একটি। এখানে আওয়ামী লীগের নেতারা স্পষ্টতই তিনভাগে বিভক্ত। তাতে সাধারণ ভোটাররা পড়েছেন কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৮৫ বছর বয়সী মোসলেম উদ্দিন ১৯৮৬ সালে প্রথম এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মোট সাতবার নির্বাচন করেছেন; এর মধ্যে পাঁচবার জিতেছেন।
ষষ্ঠবারের মত জয়ের লক্ষ্যে তিনি এই বৃদ্ধ বয়সেও ঘাম ছড়াচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই উপজেলাজুড়ে তার একটি ব্যাপক ও শক্ত রাজনৈতিক পরিমণ্ডল রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাসহ নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন তিনি বিগত দিনগুলোতে।
তার পরিবারের সদস্যরাও নানাভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বড় ছেলে অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তিনি সমান সক্রিয়। ছোট মেয়ে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারজানা শারমীন বিউটি জেলা পরিষদের সদস্য, মেয়েজামাই গোলাম কিবরিয়া তরফদার রাধাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
বড় মেয়ে সেলিমা বেগম সালমাও ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামছুন নাহার হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই পরিবারের আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই রাজনীতির মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, চার দশক ধরে এখানে মোসলেম উদ্দিন প্রায় এককভাবেই রাজনীতির মাঠ সামলেছেন। তার পরিবারের প্রভাব রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের পরিস্থিতিতে একটি পক্ষ নিজেদের বঞ্চিত মনে করেন; তারা ‘বিরোধী-পক্ষ’ হয়ে যান। ফুলবাড়িয়াতেও সেটা আছে।
মোসলেমের বড় মেয়ে সেলিমা বেগম সালমা দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন। দেশে ফিরে আসার পর ‘নানা কারণে’ নির্বাচনের মাঠে নামেন।
তিনি নির্বাচনি এলাকায় প্রচুর উঠান বৈঠক করেছেন। তার রাজনীতিতে প্রথম থেকেই জ্বালানি যুগিয়েছেন মোসলেম-বিরোধী নেতারা। তিনি নারী ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
সালমার পাশাপাশি তার ভাই ইমদাদুল হক সেলিমও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি। প্রথমে সালমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেলেও পরে আপিলে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।
দেড় যুগের বেশি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন মোসলেম উদ্দিন। ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতি হন মোসলেম-পুত্র সেলিম। তাতে মোসলেম উদ্দিন খুশি হননি বলে দলের অনেকে মনে করেন। যদিও সেলিম এখন বাবার নৌকা মার্কার পক্ষে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক সরকার উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার আগে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদকও কাউন্সিলে সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি নতুন কমিটিতে সহসভাপতি হন।
সেসময় এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, দলীয় কার্যালয় তালাবন্ধ করাসহ নানা বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, তাতে পারিবারিক বিষয়টিও উঠে আসে।
একটি পৌরসভা এবং ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ-৬ ফুলবাড়িয়া আসন।
মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪৪২ জন। আর নারী ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৫৪১ জন।
আওয়ামী লীগের মোসলেম উদ্দিন ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৭০ সালে তিনি প্রদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আমিনুল ইসলাম হীরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এ আসনে জয়ী হন।
২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহাম্মদ নির্বাচিত হন।
নির্বাচনের মাঠের ছয় প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক সরকার (ট্রাক), সেলিমা বেগম সালমা (ঈগল), জাতীয় পার্টির বেগম রওশন এরশাদের অনুসারী চক্ষু চিকিৎসক খন্দকার রফিকুল ইসলাম (কেটিলি), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মাহফিজুর রহমান বাবুল (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী অধ্যক্ষ এম আব্দুর রশিদ (গামছা)।
ভোটের সমীকরণ
আওয়ামী লীগের তিন নেতা মাঠে থাকায় নৌকার ভোট স্বাভাবিকভাবেই ভাগ হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
ফুলবাড়িয়া উপজেলায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে সক্রিয় একজন রাজনৈতিক নেতা বলছিলেন, “সালমা যে ভোটটুকু টানবেন তার মধ্যে একটা বড় অংশই নৌকার ভোট। কারণ, সবাই জানে তিনি আওয়ামী পরিবারের মেয়ে। তার সঙ্গে যারা আছেন, তারাও আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মী। ফলে তিনি মনে হচ্ছে বাবার ভোট বেশি কাটবেন।”
এটা মোসলেম-বিরোধী আব্দুল মালেক সরকারকে কোনো সুবিধা দেবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা হয়ত কিছুটা দেবে। আবার সালমা প্রার্থী না হলে এই ভোটটা কিন্তু মালেক সরকারের বাক্সে যেত। ফলে এই অর্থে সালমা ট্রাক প্রতীকের ভোটও কাটবেন। কারণ, মালেক সরকারের ভোট কাটলে মোসলেম উদ্দিনের সুযোগ বাড়বে।”
বিএনপির ভোট-ব্যাংকের ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলবাড়িয়ার ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এক নির্বাচিত প্রতিনিধি বলেন, “বিএনপির সাধারণ সমর্থকদের ভোট যদি কেন্দ্রে যায়, তাহলে তারা আওয়ামী লীগকে কেন ভোট দেবে? সেই ভোট তো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাওয়ার কথা। ভোটের আগ মুহূর্তে জয়ের সম্ভাবনা যে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেশি দেখাতে পারবেন তার পক্ষেই যেতে পারে।”
সেই হিসেবে আব্দুল মালেক সরকারকে তিনি একটু এগিয়ে রাখেন। তবে সালমা ভাল ভোট টানতে পারেন, সেই সম্ভাবনাও তিনি দেখেন।
কোনো পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে বাবা-মেয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন কি না জানতে চাইলে ফুলবাড়িয়ার ওই দুজনই বলেন, এটা কমবেশি সবাই জানেন।
ফুলবাড়িয়া শহরের মুদি দোকানি শফিকুল ইসলাম বলেন, “এবার কাকে যে ভোট দেব তা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। একদিকে বাবা-মেয়ে অন্যদিকে মালেক সরকার। ঘুরে-ফিরে তো তারা- তারাই।
“কিন্তু এলাকার তো কোনো উন্নয়ন নাই। বিভিন্ন প্রার্থীরা এসে আমাদের কাছে ভোট চাচ্ছে। কিন্তু কাউকে এখনি কথা দিচ্ছি না। দেখি শেষ পর্যন্ত কী হয়।”
স্কুলশিক্ষক রমিজ উদ্দিন বলেন, “সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার পরিবেশ হলে হয়ত তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবেন। বিএনপি না আসায় নির্বাচনটা একঘেয়েমি হয়ে যাচ্ছে। ঘুরেফিরে আওয়ামী লীগই।
“আওয়ামী লীগসহ ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এদের দুই-তিনজনের মধ্যেই একজন এমপি হবেন। সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়।”
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “নির্বাচনে বাবার সঙ্গে মেয়ের প্রতিযোগিতা- সে বিষয়টি সাধারণ ভোটাররা খুব ভালোভাবে নেননি। তবে আমরা আশা করছি, মেয়েও বাবার প্রতি অভিমান ভুলে এক হয়ে নৌকাকে জেতাতে কাজ করবেন।
“এমনিতেও ফুলবাড়িয়াতে আওয়ামী লীগের নিজস্ব একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। যার কারণে এখানে নৌকাকে হারানো যে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কঠিন হবে।”
প্রার্থীরা যা বলছেন
মানুষের কাছে গিয়ে বেশ সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিমা বেগম সালমা বলেন, “আমি ১৯৮৮ সালে থেকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত আছি। কয়েক বছর ধরেই সরকারের উন্নয়ন চিত্র মা-বোনদের সামনে তুলে ধরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। ৩৮০টির মত উঠান বৈঠক করেছি। তৃণমূলের মানুষ ভালো নেই। তারা উন্নয়ন-বঞ্চিত। শিক্ষায়ও রয়েছে পিছিয়ে।”
বাবার বিরুদ্ধে কেন লড়ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কারো পক্ষে লড়তে কোনো বাধা নেই। আমি আমার বাবাকে শ্রদ্ধা-সম্মান করি। আমিও মনোনয়ন না পেয়ে সাধারণ মানুষের চাপের মধ্যে প্রার্থী হয়েছি।
“সাধারণ ভোটাররা যাকে পছন্দ করবেন তাকেই ভোট দেবেন। ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন হোক এটাই আমার চাওয়া”, বলেন সালমা।
তবে বাবা মোসলেম উদ্দিন মেয়ের প্রার্থিতা সম্পর্কে বলেন, “আমার মেয়েটা অস্ট্রেলিয়ায় ছিল। সে দেশে এসে পাগলামি শুরু করেছে। সে অত্যন্ত মেধাবী, তাই আধ-পাগলার মত হয়ে গেছে।”
নৌকার প্রার্থী বলেন, “নির্বাচনি উৎসব ফুলবাড়িয়াতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রায় এক ডজনের মত নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। এর মধ্যে আমার ছেলে-মেয়েরাও ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমার প্রতিই আস্থা রেখেছে।
“যারা মনোনয়ন চেয়ে পায়নি, তাদের মধ্যে আমার ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুল হক সেলিমসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে কাজ করছেন। মানুষের জোয়ার উঠেছে নৌকার পালে বিজয় আমাদেরই হবে,” বলেন মোসলেম।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক সরকার বলেন, “ফুলবাড়িয়ায় এমপি পরিবারের রাজনীতি হচ্ছে একটি ব্যবসা। তাদের সবই লাগে। বাপও এমপি হতে চায়, ছেলে-মেয়েও চায়। একটা মানুষের জীবনে কতবার এমপিগিরি করা প্রয়োজন?
“তাদের পরিবারটিকে মানুষ এখন আর ভালোভাবে নেয় না। সাধারণ ভোটারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। আশা করছি, আমার ট্রাক প্রতীকের বিজয় হবে।”
ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রফিকুল ইসলাম মানুষের কাছে ডা. কে আর ইসলাম নামেই বেশি পরিচিত। তিনি এর আগে এই আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোট করেছেন।
তবে অন্যবারের তুলনায় এবার তার প্রচার ও জোয়ার কম বলেই মনে করছেন ভোটাররা।
কেটলি প্রতীকের প্রার্থী বলেন, “দলমত নির্বিশেষে ফুলবাড়িয়া উপজেলার ১২৬টি ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে ভালোভাবে চেনে-জানে। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার রাস্তার উন্নয়নের পাশাপাশি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।”