১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-ময়া এবং গোদাগাড়ী-ভারতের লালগোলা নৌ ঘাটের মধ্যে বাণিজ্য কার্যক্রম চালু ছিল।
Published : 19 Nov 2024, 11:11 PM
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জে নৌ শুল্ক স্টেশনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য কাজী মোস্তাফিজুর রহমান পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় ভারত-বাংলাদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সম্ভাবনাময় এ বন্দরে নৌ শুল্ক স্টেশন চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে সুলতানগঞ্জের প্রস্তাবিত নৌ বন্দর পরিদর্শন করেন কাজী মোস্তাফিজুর রহমান।
এ সময় কমিশনার মো. আব্দুল হাকিম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মো. আসাদ-উজ-জামান, অতিরিক্ত কমিশনার রাজশাহী মো. মাহবুব হাসান।
পরিদর্শন শেষে কাজী মোস্তাফিজুর বলেন, “সম্ভাবনাময় সুলতানগঞ্জ নৌ শুল্ক স্টেশন চালুর আগে অবকাঠামো নির্মাণ এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শুল্ক স্টেশনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আজ পরিদর্শনে এসেছিলাম। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয়ে এটি গড়ে তুলতে হবে।”
এর আগে তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিঙ্কু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আব্দুল আওয়াল, সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ী নেতারা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সুলতানগঞ্জ নৌ বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদীঘি থানার ধুলিয়ান ময়া ঘাট এবং সুলতানগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত নদী পথ ব্যবহারে পণ্য পরিবহনে খরচ কমবে। পাশাপাশি বাণিজ্যও বাড়বে। দুই দেশের এ দুটি ঘাটের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার।
সুলতানগঞ্জ এলাকার বৃদ্ধ মুদি দোকানদার শরিফুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার আগেও নৌপথে ভারতের ধুলিয়ান ময়া ঘাট থেকে সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত পণ্য আনা-নেওয়া হত। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-ময়া এবং গোদাগাড়ী-ভারতের লালগোলা নৌ ঘাটের মধ্যে বাণিজ্য কার্যক্রম চালু ছিল। যুদ্ধের সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ৫৯ বছর পর নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় আবার নৌপথ চালুর উদ্যোগ নেয় বিগত সরকার। সুলতানগঞ্জ ঘাট থেকে পদ্মা নদী পার হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নে যাওয়া যায়। প্রতিদিন এখান থেকে ৫০টি নৌকা যাওয়া-আসা করে। এখানে নৌ বন্দর হলে মানুষের যাতায়াত বাড়বে। সবাই লাভবান হবে।