প্রকৌশলী বলেন, “হ্রদের পানি বিপৎসীমার নীচে নেমে আসায় জলকপাট বন্ধ করা হয়েছে।”
Published : 26 Aug 2024, 01:53 AM
টানা ছয় ঘণ্টা পানি ছাড়ার পর বন্ধ করা হয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট। এতে কোথাও কোনো বিরূপ প্রভাবের খবর পাওয়া যায়নি।
রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা অবধি ছয় ইঞ্চি করে খোলা ১৬টি জলকপাট দিয়ে সেকেন্ডে নয় হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয় বলে জানান কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের।
তিনি বলেন, “হ্রদের পানি বিপৎসীমার নীচে নেমে আসায় জলকপাট বন্ধ করা হয়েছে।”
তবে জলকপাট খোলা থাকা অবস্থায় মোট কী পরিমাণ পানি নিষ্কাষিত হয়েছে তা জানাননি এই প্রকৌশলী।
হ্রদের ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট। এর কাছাকাছি ১০৮.৬৬ ফুট পানি চলে আসায় বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাত ১০টায় সেটি কার্যকর করার কথা ছিলো। কিন্তু সেই সময় হ্রদের পানির ইনফ্লো প্রত্যাশামতো না থাকায় তা কার্যকর করা হয়নি। জলকপাট খোলা হয় রোববার সকাল ৮টায়।
তবে ১৬টি গেটই বন্ধ করা হলেও কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি স্লুইটগেট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৩২ হাজার কিউসেক পানি নির্গমন অব্যাহত আছে। এই সময় হ্রদে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে ২১৯ মেগাওয়াটে দাঁড়ায়, যা এই মৌসুমে সর্বোচ্চ।
কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট খুলে পানি ছাড়ার কারণে ভাটিতে কোনো সমস্যা তৈরি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি এবং সবকিছুই স্বাভাবিক আছে বলে জানান কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন।
উজানেও কোনো নেতিবাচক খবর নেই বলে জানান তিনি।