জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহাবুবুল আলম ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লা বলেন, “কৃতকর্মের জন্য তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।”
Published : 08 Sep 2024, 08:31 PM
বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডারকে প্রকাশ্যের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাবেক কমান্ডার আবদুর রশিদ মিয়া জেলা আওয়ামী লীগেরও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমি ডিসি অফিসে প্রবেশ করছিলাম। এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহাবুবুল আলম ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লাসহ তার কয়েকজন সঙ্গী আমাকে দাঁড়াতে বলে। তারা কথা বলবে। আমি তখন দাঁড়াই।
“শাওন কাছে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু একপর্যায়ে শাওন আমার চোখ থেকে চশমা খুলে ছুড়ে ফেলে দেয়। পরে আমাকে চড়-থাপ্পর দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।”
এ ঘটনায় মানহানি ও নির্যাতনের মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন আবদুর রশিদ মিয়া।
এ ঘটনার ৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, গোলাপি টি শার্ট ও সানগ্লাস পরিহিত এক যুবক সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিহিত এক বৃদ্ধকে হাতে ধরে আটকে রাখার চেষ্টা করছেন। তিনি উচ্চস্বরে বৃদ্ধকে নানা প্রশ্ন করছেন এবং বৃদ্ধ সেখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তখন ওই যুবক বৃদ্ধকে বুকে ধাক্কা দিয়ে যেতে বাধা দেন।
বিষয়টি দূর থেকে অনেকেই দেখছিলেন। তখন কালো ব্যাগ কাঁধে মাঝ বয়সী এক ব্যক্তি বৃদ্ধকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন এবং যুবককে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। যুবক তখন ওই ব্যক্তিকেও জোরে ধাক্কা নিয়ে সরিয়ে দেন এবং হুমকি দিলে তিনি সরে আসেন।
উত্তেজিত যুবক লাগাতার বৃদ্ধের হাত মোচড়ে প্রশ্ন করতে থাকলে তিনি উত্তর দেওয়ারও চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বৃদ্ধের চশমা খুলে যুবক ছুড়ে ফেলে দেন। বৃদ্ধ মাটি থেকে নিজের চশমা তুলতে গেলে তার মাথায় আঘাত করা হয়; পরে তার পিঠেও আঘাত করেন ওই যুবক।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই যুবকের নাম শাওন মোল্লা। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর তিনি এলাকায় এসেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাওন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, “কৃতকর্মের জন্য তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।”