নাশকতার মামলায় ২০০৭ সালে আটকের পর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি।
Published : 15 May 2024, 07:10 PM
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ‘জঙ্গি নেতা’ মন্তেজার রহমান কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তিনি ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন।
মঙ্গলবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান জয়পুরহাটের জেল সুপার রীতেশ চাকমা।
মন্তেজার রহমান ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক নেতা ছিলেন বলে জানান জেল সুপার।
ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বিকালে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেল সুপার রীতেশ চাকমা জানান, মন্তেজার রহমান দীর্ঘদিন ধরে হার্ট-কিডনি-প্রেসারসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। সোমবার তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর তিনি মারা যান।
জয়পুরহাট আদালতের পুলিশ পরির্দশক আবু বকর সিদ্দিক জানান, ২০০৩ সালের ১৪ অগাস্ট রাতে ক্ষেতলালের উত্তর মহেশপুর গ্রামে মন্তেজারের বাড়িতে জেএমবির শীর্ষ নেতারা বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়ে রাতে বাড়িটি ঘেরাও করে পুলিশ।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জেএমবির সদস্যরা জয়পুরহাট সদর থানার তৎকালীন ওসি ইকবাল শফিসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে জখম করে তিনটি শটগান, ৪৫টি গুলি একটি ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেন। পরে ওই রাতেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করে।
এ ঘটনায় সদর থানার তৎকালীন এসআই শফিকুল ইসলাম ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা করেন। পরে মন্তেজারসহ বেশ কয়েকজন জেএমবি সদস্যের নামে পুলিশ করা একাধিক নাশকতার মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়; যেগুলোর বিচারকাজ চলমান রয়েছে।
পুলিশ পরির্দশক আবু বকর বলেন, ২০০৭ সালে পলাতক মন্তেজারকে র্যাব সদস্যরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে জয়পুরহাট কারাগারে বন্দি ছিলেন মন্তেজার।