সিলেটে ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2023, 12:59 PM
Updated : 1 June 2023, 12:59 PM

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

বৃহস্পতিবার সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের মিডিয়া সেলের (সিটি-নির্বাচন) কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মেয়র পদে কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। এই পদে সাতজন প্রার্থী রয়েছেন।

কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহীন আহমেদ ও মো. আল আমিন, ৪২ নম্বরে মো. বদরুল ইসলাম, ৩৬ নম্বরে এসএম আলী হোসেন, ৩৪ নম্বরে এনামুল করীর চৌধুরী, ৩৩ নম্বরে মো. আব্দুছ সবুর চৌধুরী, ২৯ নম্বরে মো. আতাউর রহমান, ২৩ নম্বরে তারেক আহমদ, ১৮ নম্বরে মো. সাজুয়ান আহমদ, ১৪ নম্বরে তপু গণি, ১৩ নম্বরে সুমন আহমদ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আলম হোসেন আলম।

কামাল হোসেন জানান, নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৭৩ জন। ১৪টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তাদের কেউ প্রত্যাহার করেননি। শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন ও মো. শাহজাহান মিয়া।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। ২৩ মে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া শেষ হয়েছে। ২৫ জুন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা।

২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদর উদ্দিন কামরান, ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি।