বান্দরবান সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণ, পা উড়ে গেছে কৃষকের

মোহাম্মদ কাদেরের ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2022, 05:35 PM
Updated : 4 Oct 2022, 05:35 PM

বান্দরবানের সীমান্তের ওপারে গিয়ে ফের মাইন বিস্ফোরণের শিকার হয়েছেন এক বাংলাদেশি কৃষক। 

নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের চেরারকূল সীমান্তে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের এএসআই রিপন চৌধুরী। 

আহত মোহাম্মদ কাদের (৫১) দোছড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চেরারকূলের প্রয়াত মীর আহম্মেদের ছেলে।  

মোহাম্মদ কাদেরের ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানান এএসআই রিপন। 

এর আগেও মাইন বিস্ফোরণে একজন পা হারিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন এবং একজন দুই বিচ্ছিন্ন হয়ে মারা গেছেন। 

রিপন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যায় দোছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে আহত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। রাত ৯টায় তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। 

আহতের ভাই মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, দুপুরে তার ভাই মোহাম্মদ কাদের তার ২/৩টি গরু চড়াতে চড়াতে এক পর্যায়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন। গরুগুলো আনতে তিনিও মিয়ানমারে ঢোকেন। 

"এক পর্যায়ে সীমান্তের দুই/তিন শত গজ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তার শোর-চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।" 

এর আগে রোববার নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক দুই পা বিচ্ছন্ন হয়ে নিহত হয়েছেন। তারও আগে সীমান্তের ওপারে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবক পা হারিয়েছেন।

এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে আসা মর্টারের আঘাতে রোহিঙ্গা শিবিরে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। 

মিয়ানমারে সেনা অভিযানের মুখে ২০১৭ সালে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান এদেশে এসেছে। এর আগে আসা কয়েক লাখসহ এখন ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। 
ওই বছরই সে দেশ থেকে পালিয়ে এসে ৬২১টি পরিবারের চার হাজার ২০০ রোহিঙ্গা এখনও তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়া শূন্যরেখায় অবস্থান করছে। 

মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে বারবার গোলাগুলির কারণে আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। 

গত প্রায় দুই মাস ধরে সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মি ও মিয়ারমানের সরকারি বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। কয়েকটি গোলা এপারে এসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

আরও পড়ুন: 

Also Read: তুমব্রু সীমান্তে আবার গোলার শব্দ