জেলা আলু চাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে ও পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের সৌজন্যে প্রথম দিন সাতটি ট্রাকে করে আলু বিক্রি হয়।
Published : 14 Feb 2024, 03:52 PM
মুন্সীগঞ্জের আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ৩৬ টাকা কেজি দরে ট্রাক সেল কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের কালেক্টরেট মাঠে এ ট্রাক সেল কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন।
ভোক্তা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকা কেজি দরে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে এ আলু বিক্রি হবে।
জেলা আলু চাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে ও পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের সৌজন্যে প্রথম দিন সাতটি ট্রাকে করে আলু বিক্রি হয়।
আলুর দর নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নানা ধাপে গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন হিমাগারে অভিযান চালাচ্ছেন।
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান কয়েকদিন ধরে বলে আসছেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডেকেট ভাঙতে না পারলে দেশের বাইরে থেকে আলু আমদানির সুপারিশ করবেন তিনি। তবুও বড় মজুতদাররা আলু বের করছিলেন না।
এ অবস্থায় আলু উৎপাদনের অন্যতম শীর্ষে থাকা মুন্সীগঞ্জে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বিকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে ৩৬ টাকা কেজি দরে ট্রাক সেল কার্যক্রম চালু হল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আরা, ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল হুদা, পঞ্চসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত এ ট্রাক সেল চালু থাকবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, খোলা বাজারে আলু বিক্রি শুরু হওয়ার কারণে সিন্ডিকেট বা অসাধু ব্যবসায়ীদের সব রকম অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে এবং আলুর বাজার সরকার নির্ধারিত মূল্যে চলে আসবে। এর বাইরে যদি কেউ অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রির চেষ্টা করে অথবা ট্রাকে আলু বিক্রি করতে বাধা দেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জেলার মুক্তারপুর রিভারভিউ হিমাগারের স্বত্বাধিকারী গোলাম মোস্তফা বলেন, “যার যত প্রয়োজন খোলা বাজারে মানসম্মত আলু কেনার সুযোগ থাকবে। তাই সিন্ডিকেটের অসৎ উদ্দেশ্য আর সফল হবে না।”
হিমাগার পর্যায়ে আলুর পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে কেজি প্রতি ২৭ টাকা। জেলায় ২ লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন আলু মজুত থাকার পরও ভোক্তা পর্যায়ে আগুন দামে আলু বিক্রি হচ্ছিল। সেকারণেই এই খোলা ট্রাকে করে খুচরা মূল্য ৩৬ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করা হচ্ছে।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]