পুলিশ বলছে, ওই শিশুকে হত্যার পর কাশবনে ফেলে রাখা হয়েছে।
Published : 19 Aug 2023, 08:11 PM
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজের তিনদিন পর এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে একটি কাশবন থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলে তিতাস থানা ওসি সুধীন চন্দ্র দাস জানান।
৭ বছর বয়সি নিহত আরিয়ান হোসেন উপজেলার কলাকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবুল কাশেমের ছেলে। সে কড়িকান্দি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পেরুজল ইসলামিক স্কুলের প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ বলছে, ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার বিকালে আরিয়ান খেলতে বের হলে নিখোঁজ হয়।
এ ঘটনায় তার মা খোরশদা বেগম শুক্রবার তিতাস থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করেন।
ওসি বলেন, জিডির খবর শুনে শেফালী বেগম নামে শিশুটির চাচি একই গ্রামের শাহিদা আক্তার নামে এক নারীকে থানায় পাঠান তার (শেফালী বেগম) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কিনা খোঁজ নিতে। তখন পুলিশ শাহিদাকে আটক করলে শেফালী থানায় এসে ওই নারীকে ছাড়িয়ে নিজেই পুলিশ হেফাজতে রয়ে যান। পরে শেফালীর শ্বশুর ও স্বজনরা থানায় গিয়ে শেফালীকে ছাড়িয়ে নেন।
আরিয়ানের খালা শারমিন আক্তার বলেন, “শেফালী বেগমই আমার বোনের ছেলেকে হত্যা করেছে। তাকে মেরে ফেলে বোনের সব সম্পত্তি তারা হাতিয়ে নিতে চায়।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শেফালী বেগম বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে আরিয়ানের বোন সুমনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সুমনা এখন অন্যত্র বিয়ে করেছে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছে। কিন্তু আরিয়ানকে হত্যার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমিও এ হত্যার বিচার চাই।”
ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, “আমরা হত্যার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত খুনিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারব।”