ডাকাতিয়া নদীর পাড় এবং পাম্প হাউজের পাশে শতশত মানুষ মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে।
Published : 23 Aug 2024, 11:16 AM
টানা বৃষ্টিতে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সেচ প্রকল্প এলাকায় প্লাবিত হয়েছে অর্ধশতাধিক মাছের ঘের। ঘেরের চারপাশে জাল দিয়ে মাছ আটকে রাখা সম্ভব হয়নি।
এসব ঘেরের লাখ লাখ টাকার মাছ এখন পাশের ডাকাতিয়া নদীতে। ফলে নদীর পাড় এবং পাম্প হাউজের পাশে শতশত মানুষ মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে।
সেচ প্রকল্প এলাকার বাগাদি, ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, শত শত একরের মাছের ঘেরগুলো রক্ষায় দিন ও রাতে কাজ করছেন খামারিরা। শ্রমিকরা চারপাশে উঁচু করে জাল টানাচ্ছেন। মাছের খাবার দেওয়া হচ্ছে।
মৎস্য চাষে দেশের চতুর্থতম উপজেলা ফরিদগঞ্জ। উপজেলার সবচেয়ে বড় মাছের ঘেরগুলো ডাকাতিয়া নদী সংলগ্ন ধানুয়া গ্রামে। এখানে ১৩ জন অংশিদারের চারটি মাছের ঘের আছে। যারা উপজেলার মৎস্য খামারিদের মডেল। তাদের দেখাদেখি অর্ধশতাধিক ছোট-বড় মৎস্য খামার তৈরি হয়েছে উপজেলায়।
এসব খামারের মূল উদ্যেক্তাদের মধ্যে অন্যতম সাইফুল ইসলাম বলেন, “উপজেলার ৪০ জন বড় খামারির ঘেরে কয়েক শ’ কোটি টাকার মাছ আছে। কয়েক লাখ টাকার জাল দিয়েও আমরা মাছ রক্ষা করতে পারি নাই। সব ডাকাতিয়া নদীতে চলে গেছে। আমরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।”
একই এলাকার খামারি হেলাল উদ্দিন কবির ও নাঈম জানান, তারা প্রায় ১৩জন উদ্যোক্তা প্রায় ২৫ কোটি টাকা খরচ করে খামার করেছেন। রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ রয়েছে খামারে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক মাছ নদীতে চলে গেছে।
দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্প হাউজের দায়িত্বরতদের অনুরোধ জানিয়েছেন এই খামারিরা।
উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের সেকদি চরে দুটি ঘের। এর মধ্যে একটি প্লাবিত। আরেকটি রক্ষায় কাজ করছেন শ্রমিকরা।
ওই খামারের দায়িত্বরত প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বলেন, এই খামারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ রয়েছে। আর কয়েকদিন বৃষ্টি হলে এই ঘেরের মাছও রক্ষা করা যাবে না।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, “বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই আমরা উপজেলা মৎস্য খামারিদেরকে নেট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি। সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। তারপরেও গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ”
ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান এই মৎস কর্মকর্তা।