মিয়ানমারে যুদ্ধ: অস্ত্রসহ আসা ক্যাম্পের ২৩ রোহিঙ্গার রিমান্ড আবেদন

ওসি বলেন, “কী কারণে তারা মিয়ানমারে গিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে।”

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2024, 02:11 PM
Updated : 10 Feb 2024, 02:11 PM

মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশের ক্যাম্প ছেড়ে রাখাইনে যাওয়া এবং পরে অস্ত্রসহ ফিরে আসা ২৩ রোহিঙ্গাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

শনিবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তাদের হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন জানান।

“কী কারণে তারা মিয়ানমারে গিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনটি বিচারক ফাহমিদা সাত্তার আমলে নিয়ে রোববার শুনানির দিন রেখেছেন।”

রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘর্ষের মধ্যে গত সপ্তাহে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিপির ৩৩০ সদস্য বাংলাদেশে এসে আত্মসমর্পণ করে। সরকারিভাবে এখন তাদেরকে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বুধবার বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছিলেন, সংঘাতের মধ্যে বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও অন্যান্য সরকারী কর্মীদের সঙ্গে কিছু উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসীকেও পেয়েছে বিজিবি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এরমধ্যেই বেশ কিছু সশস্ত্র রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে বলেও স্থানীয়দের ভাষ্য।

এর মধ্যে শুক্রবার পুলিশ জানায়, ২৩ রোহিঙ্গাকে বিজিবি তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে; যারা বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। 

২৩ রোহিঙ্গা হলেন- মো. হোসেন আহম্মদ (৩০), মো. জুনাইদ (১৯), ওসামা (১৯), আব্দুল্লাহ (২০), মো. রফিক (২৩), আয়াতুল্লাহ (৩০), মো. হারুন (২৩), ওমর ফারুক (১৯), মো. কায়সার (১৯), এনামুল হাসান (২২), মো. রফিক (২৪), মো. সাদেক (১৯), হারুন অর রশিদ (২৪), ইয়াসিন আরাফাত (১৯), মো. জোবায়ের (১৯), মো. ইসমাইল (১৯), সৈয়দুল ইসলাম (২৪), মো. সাবের (১৯), নজু মোল্লা (৩৮), সৈয়দ উল্লাহ (১৯), হাফেজ আহম্মেদ (১৯), মো. আরমান (২১), মো. রহিম (১৯)। তারা সবাই উখিয়া উপজেলার বালুখালী ও পালংখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।

পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার ভোর ও রাতে উখিয়া সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করেছে। যাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছিল। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি এসএমজি, জি-৩ রাইফেল একটি, পিস্তল দুটি, রিভলবার চারটি, ৮৯৮টি গুলি ও ১৩টি ম্যাগাজিন পাওয়া যায়।

শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় বিজিবির এক সদস্য বাদী হয়ে ২৩ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে।