পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আগুনে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কাফির পরিবারের।
Published : 12 Feb 2025, 08:17 PM
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সাত দিনের মধ্যে নতুন ঘর নির্মাণ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার রজপাড়া গ্রামে আগুনে তিন কক্ষ বিশিষ্ট কাঠ ও টিনের তৈরি বসতঘর, মালামাল ও একটি রান্নাঘর ভস্মীভূত হয়েছে বলে জানান কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াস।
বুধবার বেলা ১২টায় পুড়ে যাওয়া ঘরের সামনে সাংবাদ সম্মেলনে কাফি বলেন, “আমার আল্টিমেটাম সাত দিন। আমি সাত দিনের মাথায় রাজপথে দাঁড়াব। যদি বিচার করা না হয়, যদি ঘর উঠানোর কাজ শুরু না হয়।
“এটা দিনের মত পরিষ্কার। আমি ৩২ নম্বরে বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়েছি। আমি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে স্লোগান দিয়েছি। তারাই তো বলছে, যারা ৩২ নম্বর পোড়াইছে, তাদের বাড়িঘরও পোড়াইয়া দেওয়া হবে। তাইতো হয়েছে।”
বাড়ি পোড়ানোর ঘটনাকে সরকারের ব্যর্থতা দাবি করে তিনি বলেন, “আমি চাই সরকারের হাতকে আরও শক্তিশালী করা হোক। যদি না পারে তারা ছাইরা দিয়ে বলুক দেশের মানুষ বিপ্লবী সরকার গঠন করবে।”
কাউকে সন্দেহ করেন কি-না জানতে চাইলে এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, “আমি কারও নাম বলে কাউকে বিপদে ফেলতে চাই না। আমি ধানমন্ডিতে ছিলাম, জুলাই-অগাস্টে ছিলাম। কারা আমার শত্রু সবাই জানেন।”
কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও কোনো কারণ বলতে পারেননি। তারাও বিষয়টি তদন্ত করছে কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া পুলিশও বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে।”
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী তদন্ত করা হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে কাফির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তবে ঘর তৈরি করে দেওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও আবেদন করতে বলা হয়েছে।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করার কথা জানিয়েছেন ইউএনও।
এর আগে রাত ২টার দিকে উপজেলার ত্রিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামে কাফির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তিন কক্ষ বিশিষ্ট কাঠ ও টিনের তৈরি একটি বসতঘর, রান্নাঘর ছাই হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আগুন দেওয়ার আগে বাইরে থেকে ঘরের দরজা আটকে দেওয়া হয় বলে দাবি কাফির বাবা এ বি এম হাবিবুর রহমানের। তবে তারা অক্ষত অবস্থায় ঘর থেকে বের হয়েছেন।
আগুনে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কাফির বাবা।
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ইলিয়াস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে বসতঘর পুড়ে গেলেও পাশের গোয়ালঘর রক্ষা করা গেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।