বন্যাকবলিত নিজ বাড়ির লোকজনকে দেখতে দুদিন আগে ফেনীতে আসেন মামুন। শুক্রবার স্ত্রী, সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে মাইক্রোবাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।
Published : 06 Sep 2024, 10:24 AM
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের চার আরোহী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ মাস বয়সী এক শিশুসহ তিনজন একই পরিবারের। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা-নানকরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ওসি রইস উদ্দিন।
নিহতরা হচ্ছেন- ফেনী সদরের মোটবী ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রামের মো. মামুন (৫০), তার ৫ মাস বয়সী ছেলে সাইমন ইসলাম, শাশুড়ি মাজেদা বেগম (৭০) এবং মাইক্রোবাসটির চালক ফেনী সদরের মাস্টার পাড়ার হাসান হাজারির ছেলে আলাউদ্দিন হাজারি (২৭)।
হতাহতরা ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
নিহত মামুনের ভাই আবু হানিফ জানান, তার ভাই মামুন ঢাকায় একটি হাসপাতালে চাকরি করেন। বন্যাকবলিত নিজ বাড়ির লোকজনদের দেখতে দুইদিন আগে তিনি ফেনীতে আসেন।
“শুক্রবার ভোরে স্ত্রী, সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিছুক্ষণ পরে আমরা জানতে পারি তাদের গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, প্রাণ গেছে চারজনের।”
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি রইস উদ্দিন জানান, বাতিসা-নানকরা এলাকায় মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড়ানো ছিল। সে কারণে দ্রুতগতিতে থাকা ঢাকাগামী মাইক্রোবাসটি গতি কমিয়ে দেয়।
এ সময় পেছনে থাকা ফেনী থেকে ঢাকাগামী দ্রুতগতির স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাস মাইক্রোবাসের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে করে মাইক্রোবাসটি মহাসড়ক থেকে নিচে ছিটকে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়।
এতে মাইক্রোবাস চালক ও শিশুসহ চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া মাইক্রোবাসে থাকা মামুনের স্ত্রীসহ অন্যরা গুরুতর আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে। আহতদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, মরদেহ এবং দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া এ ঘটনা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।